আজ শুক্রবার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’। কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি হয়েছে ছবিটি। পরিচালনা করেছেন অভিনয়শিল্পী ও নির্মাতা নাদের চৌধুরী। তিনি প্রথম তৈরি করেন ‘লাল চর’ ছবিটি। তার দ্বিতীয় ছবি ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে?’ প্রযোজনা করেছেন জাজ মাল্টিমিডিয়া।চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন ছবির নায়িকা জলি।
চ্যানেল আই অনলাইন : আজ অাপনার ছবির মুক্তি পাচ্ছে। সারাদিনের জন্য কী পরিকল্পনা করছেন?
‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’ আমার তৃতীয় ছবি। অনেক আশা আর স্বপ্ন নিয়ে এই ছবিতে করেছি। আজ বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। দর্শকদের অনুভূতি কাছ থেকে দেখতে পাব। এছাড়া দর্শকদের সঙ্গে সেলফি তুলব।
চ্যানেল আই অনলাইন : ছবিটি আপনার অভিনয়জীবনে কী প্রভাব ফেলবে?
একজন ভালো পরিচালক আর অসাধারণ গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে ছবিটি। আমি বিশ্বাস করি ছবিটি আমার অভিনয়জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য ভূমিকা রাখবে।
চ্যানেল আই অনলাইন : একটি মেয়েকে কেন্দ্র করে ছবির গল্প। এই ছবিতে অভিনয় করে কেমন লাগছে?
আমার ভাগ্য খুবই ভালো। এত অল্প সময়ে এমন একটি ছবিতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আব্দুল আজিজকে। তিনি আমাকে তৈরি করেছেন, আমার ওপর আস্থা রেখেছেন, তাই আমি কাজটি করতে পেরেছি।
চ্যানেল আই অনলাইন : ছবিটি মুক্তির আগে কেমন অনুভূতি হচ্ছে?
ভয়ংকর! বলে বোঝাতে পারব না। সবাই মিলে অনেক কষ্ট করে, অনেক স্বপ্ন নিয়ে একটি ছবি তৈরি করেছি। দর্শকদের কাছে অনুরোধ, সবাই প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবিটি দেখুন। এমনি ভাবে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র বাঁচবে।
চ্যানেল আই অনলাইন : ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’ ছবির গল্প নিয়ে কিছু বলুন।
ছবিতে আমার চরিত্রের নাম ‘কৃষ্ণকলি’, হিন্দু পরিবারের মেয়ে। মেয়েটি মুসলিম পরিবারের একটি ছেলেকে ভালোবাসে। কিন্তু মেয়েটি তার ধর্ম আর পরিবার ত্যাগ করতে পারে না। কারণ তার কাছে ধর্ম ও পরিবার সব থেকে বড়। এভাবেই এগিয়েছে গল্পটি। আরেকটা ব্যাপার, পরিবারের একটি ছেলে কোনো ভুল করলে তা পরিবারের ভুল হিসেবে নেয়, কিন্তু ভুলটি মেয়ে করলে তা অপরাধ হয়ে যায়। সমাজে আমরা এই বার্তাটি দিতে চাই, মেয়েদের ভুলকে ভুল হিসাবেই দেখুন, অপরাধ নয়।
চ্যানেল আই অনলাইন : গল্পটি গ্রামের। কাজ করতে কোনো সমস্যা হয়েছে?
আমি গ্রামে বড় হয়নি, কিন্তু গ্রামের ব্যাপারে আমার অভিজ্ঞতা আছে। ছোটবেলায় ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়াশুনা করলেও নানীবাড়িতে গিয়ে ধান ভেঙ্গেছি। তাই গ্রামের অভিনয় করতে তেমন অসুবিধা হয়নি। তাছাড়া ‘কৃষ্ণকলি’ চরিত্রের মাঝে এমনভাবে ঢুকে গিয়েছিলাম যে এখনো বের হতে পারিনি।
চ্যানেল আই অনলাইন : বুঝতে পারছি, ছবিতে গল্পটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর কোনো আকষর্ণ আছে?
চমৎকার কিছু গান রয়েছে। গাজী মাজহারুল আনোয়ার, মো. রফিকউজ্জামান ও কবির বকুলের লেখা গানগুলোতে সুর আর সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন সাহা। গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন সাবিনা ইয়াসমীন, ডলি সায়ন্তনী।
চ্যানেল আই অনলাইন : আর কোনো ছবিতে কাজ করছেন?
না। সামনে অবশ্যই কাজ করব।
চ্যানেল আই অনলাইন : ধন্যবাদ আপনাকে
চ্যানেল আই ও চ্যানেল আই অনলাইনকে ধন্যবাদ।