দুয়ারে কড়া নাড়ছে নতুন বছর। মাঝ রাতে ২০২১ সালকে স্বাগত জানাবেন সবাই। বিদায় নেবে করোনায় ভীতিকর এক বছর, ২০২০। বছরটিতে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।
মেয়েদের এমনিতেই ম্যাচ খেলার সুযোগ কম। তা আরও কমে গেছে মহামারীর কারণে। ২ মার্চের পর আর মাঠেই নামা হয়নি সালমা-রুমানাদের।
অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ম্যাচটি হয়ে আছে টিম টাইগ্রেসের শেষ লড়াই। এরমাঝে হয়নি দলীয় ক্যাম্প কিংবা ঘরোয়া লিগ। ঘরবন্দি কেটেছে বছরের অর্ধেক সময়।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিকল্পনা ঠিক থাকলে ২০২১ হতে পারে মেয়েদের অপূর্ণতা ঘোচানোর বছর। ৩ জানুয়ারি ২৯ ক্রিকেটারের অংশগ্রহণে সিলেটে শুরু হতে যাচ্ছে একমাসের স্কিল ক্যাম্প।
ওয়ানডে সিরিজ খেলতে মার্চের শেষদিকে বাংলাদেশে আসবে সাউথ আফ্রিকা ইমার্জিং নারী দল। মাঝের সময়ে জাতীয় লিগ আয়োজনের ভাবনা আছে বিসিবির।
জুনে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কা সফর করার কথা সালমা-রুমানাদের। সেখানে তৃতীয় দল হিসেবে থাকার কথা পাকিস্তানের। লঙ্কাতেই ২৬শে জুন থেকে শুরু হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব। যেটি ২০২০ সালের জুলাইতে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার থাবায় পিছিয়ে যায়।
নারী ক্রিকেটের পাইপলাইন তৈরিতেও উদ্যোগী হচ্ছে বিসিবি। ফেব্রুয়ারিতে দেশব্যাপী বাছাই কার্যক্রমের মাধ্যমে অনূর্ধ্ব-১৭ দল গঠন করে ক্যাম্প পরিচালনার পরিকল্পনা আছে বোর্ডের। মার্চে অনূর্ধ্ব-১৯ দল তৈরির মিশন রয়েছে।
২০২১ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ সামনে রেখে একটা দল তৈরি করেছিল বিসিবি। কিন্তু করোনার কারণে অন্তত একবছর পেছাচ্ছে আসরটি। যার আয়োজক দেশ বাংলাদেশ।
সময়মতো বিশ্বকাপ না হওয়ায় যারা সেই দলে ছিলেন, তাদের অনেকেরই বয়স পেরিয়ে যাবে বিশ্বকাপ আসতে আসতে। যে কারণে নতুন করে মার্চে দল গঠন করবে বিসিবি। যারা প্রস্তুত হবেন ২০২২ বিশ্বকাপের জন্য।
জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ফয়সাল হোসেনকে নারী দলের সহকারী কোচ ও মঞ্জুরুল ইসলামকে করা হয়েছে নির্বাচক। নতুন হেড কোচ নিয়োগের ব্যাপারেও অনেকটা এগিয়েছে বিসিবি। সব ঠিক থাকলে জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেবেন ইংল্যান্ড নারী দলকে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতানো কোচ মার্ক রবিনসন।
নতুন বছরে নতুন করে সাজছে নারী ক্রিকেট। ফেলে আসা বছরের অতৃপ্তি ঘুচিয়ে সালমা-রুমানাদের জন্য আশীর্বাদের বছর হতে যাচ্ছে ২০২১!