মেহেরপুর ও ফরিদুরপুরের পাখা শিল্প বৈদ্যুতিক যন্ত্রের কবলে পড়ে আজ বিলুপ্তির পথে। এরপরও বাঙালি ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখার জন্য নানা সংকটের মধ্য দিয়ে গোনা কয়েকটি পরিবার ধরে রেখেছে এই শিল্প।
আবহমান বাংলায় গ্রীষ্মকালের বন্ধু তালের পাখা। যা মানুষ ব্যবহার হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। কিন্তু দিনে দিনে বৈদ্যুতিক যন্ত্রের প্রতি মানুষের নির্ভরতা বাড়ায় কমে এসেছে হাতপাখার আবেদন। অন্যদিকে তালগাছ কমে যাওয়ায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে এই কুটিরশিল্পের ভবিষ্যত।
ভবিষ্যতের কথা চিন্তা না করে মেহেরপুর ও ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের ২০-৩০টি পরিবার তালপাখা তৈরী করে যেমন জীবিকা নির্বাহ করছে তেমনি বাঁচিয়ে রাখছে এই শিল্পকে।
মেহেরপুরের তালপাখার কারিগররা বলছেন, তালপাখার প্রতি মানুষদের আগ্রহ না থাকায় বিক্রি হচ্ছে না। আর যাই বিক্রি হয় তা দিয়ে লবণ কেনারও সাধ্য থাকে না। কারিগরদের দাবি, সরকার যদি এই শিল্পের জন্য কিছু পদক্ষেপ নেয় তাহলে শিল্পের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের জীবনধারার উন্নয়ন ঘটবে।
ফরিদপুরে হাতপাখা তৈরি করা পরিবারগুলোর চিত্র ঠিক একইরকম। ফরিদুরের কারিগররা বলছেন, মৌসুমে একটি পরিবার হাতপাখা তৈরি করতে পারে প্রায় দশ হাজার পাখা। কিন্তু বৈদ্যুতিক যন্ত্রের কবলে পড়ে স্থানীয়ভাবে প্রতিটি পাখার পাইকারি দাম রাখা হয় আট-দশ টাকা। যা একটি পরিবারের দু’বেলা খাবারের অর্থ যোগান দেয় না। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার সাহায্য ছাড়া এই শিল্পকে ধরে রাখা সামর্থ্য ও সাধ্য এই পরিবারগুলো নেই বলেও জানান হাতপাখা কারিগররা।
মেহেরপুর বিসিক শিল্পনগরীর ডেপুটি ম্যানেজার বাবুল ইসলাম বলেন, সহজ শিল্পে ঋণের ব্যবস্থা করা গেলে বাঁচবে এই শিল্প।