মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। পৃথক দুর্ঘটনার একটি মেহেরপুরে অপরটি ঘটেছে গাংনীতে।
আজ সোমবার সকালের দিকে মেহেরপুর কোর্ট সড়কের পাবলিক লাইব্রেরির মোড় এলাকায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় আলমগীর হোসেন মৃত্যুবরণ করেন। আলমগীর হোসেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের তৌফিকুল ইসলামের ছেলে। আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে আলিম পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। আর সেই পরীক্ষায় অংশ নিতেই তার প্রিয় প্রতিষ্ঠান থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন আলমগীর হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আলমগীর হোসেন মোটরসাইকেল যোগে তার এক বন্ধুকে সাথে নিয়ে মা্দ্রাসা থেকে শহরের প্রধান সড়ক ধরে যাচ্ছিলেন। পাবলিক লাইব্রেরী মোড় এলাকায় বিপরীতগামী একটি ইজি বাইক তাকে ধাক্কা দিলে রাস্তার উপর পড়ে মারাত্মক আহত হন আলমগীর হোসেন। তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
স্যালো ইঞ্জিন চালিত স্ট্রিয়ারিং গাড়ি লাটা হাম্বারের চাকার নিচে চাপা পড়ে নিহত হয়েছে রোজা (৭) নামের এক শিশু। রোজা গাংনী উপজেলার গোপালনগর গ্রামের চাতরপাড়া এলাকার সিঙ্গাপুর ফেরত আসাদুজ্জামানের একমাত্র মেয়ে ও গোপালনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণির ছাত্রী। সোমবার বেলা ১১ টার দিকে গাংনী-চাঁন্দামারী রাস্তার আড়পাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হয়েছেন শিশুটির বাবা আসাদুজ্জামান (৩৮)।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সানোয়ার হোসেন জানান, আসাদুজ্জামান তার স্ত্রী ও শিশু কন্যা রোজাকে মোটরসাইকেলে নিয়ে রোজার নানা বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। একই দিকে যাচ্ছিলো ধানের বস্তা বোঝাই একটি স্ট্রিয়ারিং লাটা হাম্বার। লাটা হাম্বারকে ওভারটেক করে বের হওয়ার সময় সামনেই পড়ে একজন পথচারী। তাকে বাঁচাতে গিয়ে লাটা হাম্বারের সামনের রডের সাথে ধাক্কা লেগে শিশুটি চাকার নিচে পড়ে যায়। সাথে সাথে শিশুটিকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা হাসপাতালে নিলে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে’।