জাতীয় লিগে ১৭৭ রানের ইনিংস খেলে আলোচনায় আসেন মেহেদী হাসান। লিগের বিরতিতে বিপিএল মাতিয়েছেন বল হাতে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে প্রথম ম্যাচেই বাজিমাত করেন তরুণ অফস্পিনার। ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন আসরজুড়েই। জাতীয় লিগের শেষ রাউন্ডে নেমেই খুলনার অলরাউন্ডার খেলে ফেলেছেন আরেকটি ১৭৭ রানের ইনিংস। ফলটাও পেয়েছেন হাতে-নাতে। ব্যাটে-বলে দ্যুতি ছড়িয়ে মেহেদী এখন জাতীয় দলের ক্যাম্পে।
আসন্ন ত্রিদেশীয় সিরিজ ও শ্রীলঙ্কা সিরিজ সামনে রেখে বুধবার শুরু হয়েছে টাইগারদের কন্ডিশনিং ক্যাম্প। যেখানে নবীনতম সদস্য মেহেদী। প্রথমদিনের অনুভূতি-অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে ২২ বছরের তরুণ জানালেন রোমাঞ্চিত হওয়ার গল্পই।
‘সকালটা রোমাঞ্চকর ছিল। প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিয়েছি। সকালের নাস্তা থেকে শুরু করে ড্রেসিংরুম শেয়ারের অভিজ্ঞতা, সবই অন্যরকম ছিল। সবাই সবার চেয়ারে বসে ছিল ড্রেসিংরুমে। আমি কোন সিটে বসবো, সেটা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। যেখানেই বসতে চাই, কারো না কারো সিট সেটা। এতে একটু নার্ভাস ফিল হচ্ছিল। দাঁড়িয়ে ছিলাম অনেকক্ষণ। টিমমেটরা বলছিল, প্রথমে আসলে এই রকম হয়ই। আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।’
শুরুটা হল। স্বপ্ন অনেকদূর যাওয়ার। বাংলাদেশ দলের মূল স্কোয়াডে জায়গা পেলে নিজেকে উজাড় করে দেবার প্রত্যয়ই তাই মেহেদীর কণ্ঠে, ‘অবশ্যই আমি আত্মবিশ্বাসী। যে স্কোয়াডে আসুক না কেন, সবাই সবার সেরাটাই দিতে চাইবে। আমার শতভাগের চেয়ে বেশি দিতে হলে আমি সেটাই দিবো।’
খুলনারই আরেক মেহেদী, মেহেদী হাসান মিরাজ জাতীয় দলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন। আরেক মেহেদী ক্যাম্পে আসায় খুশি মিরাজও। তা হবেন না কেন, দুজন যে ছোটবেলার বন্ধু!
মেহেদীর আগমনে অনুভূতি জানাতে গিয়ে মিরাজ বললেন, ‘আসলে খুব ভাল লাগছে। বিশেষ করে মেহেদী আমার খুবই কাছের বন্ধু। দুজনই অনূর্ধ্ব-১৪ থেকে একসঙ্গে খেলেছি। খুলনা বিভাগের হয়ে একসঙ্গে খেলছি। খুব ভাল লাগছে, ও জাতীয় দলের ক্যাম্পে সুযোগ পেয়েছে। ভাল লাগছে খুলনা থেকে আরও একজন ক্রিকেটার উঠে আসছে।’
‘ওর নামও মেহেদী। ছোটবেলার বন্ধু আমার। ওকে আমি ছোটবেলা থেকেই চিনি। ও আমাকে ছোটবেলা থেকে চিনে। আশা করবো ভাল কিছু করবে।’ মেহেদীর শুভকামনায় যোগ করেন আরেক মেহেদী, মিরাজ।