বয়স চলছে ৩১। সাধারণত এই বয়স থেকেই ক্যারিয়ারের শেষের দিনক্ষণ গণনা শুরু করেন অধিকাংশ ফুটবলার। লিওনেল মেসি তো সেই অধিকাংশ ফুটবলারের কাতারে পড়েন না। তাই খুব দ্রুতই তার ক্যারিয়ারের শেষ দেখছেন না জোসেফ মারিয়া বার্তেমেউ। বার্সেলোনা সভাপতির বিশ্বাস ৪৫ বছর বয়সে থামবে মেসির ফুটবল ক্যারিয়ার!
বুধবার ঘরের মাঠে প্রথম লেগে লিভারপুলকে ৩-০ গোলে হারিয়ে তিন মৌসুম পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল দেখছে বার্সা। সেই ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন মেসি। ছুঁয়েছেন ক্লাব ফুটবলে ৬০০তম গোলের মাইলফলক। বার্সা সমর্থকদের মাঝে খুশির জোয়ার।
সভাপতি হিসেবে বার্তেমেউ নিজেও খুশি। তার খুশির আড়ালে চাপা ভীতিও আছে। কারণ নতুন চুক্তির জন্য এখন অবধি চেয়ার পর্যন্ত টেনে আনতে পারেননি মেসিকে। সবশেষ ২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী ২০২১ পর্যন্ত বার্সার খেলোয়াড় মেসি। কিন্তু এরপর কী হবে, যদি মেসি বার্সার হয়ে আর খেলতে না চান? কিংবা অবসর নিয়ে বসেন?
‘যেদিন মেসি অবসর নেবে সেদিন থেকে আমি আর সভাপতিও থাকবো না। তার কারণেই আমি এতদিন পর্যন্ত সভাপতির পদে। তবে আমার মনে হয় তার আরও অনেক কিছু দেয়ার আছে।’ ডেইলি মেইলকে মেসিকে নিয়ে বার্তেমেউয়ের ভাষ্য এমনটাই।
কিছুদিন আগে ইএসপিএনকে সাক্ষাতকারে বার্তেমেউ বলেছিলেন, তার চেষ্টা থাকবে অবসর পর্যন্ত মেসিকে বার্সাতেই রাখা। ডেইলি মেইলকে সেই কথারই যেন পুনরাবৃত্তি করলেন বার্তেমেউ্
‘আমার এখনো মনে হয় মেসির আরও অনেকদূর পর্যন্ত যাওয়ার আছে। লিভারপুল ম্যাচে ও যে গতিতে ফ্রি-কিক নিল। অনেকদূর থেকে ও যেভাবে বলটাকে বাতাসে ভাসাল। সে এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। আমি বিশ্বাস করি ৪৫ বছর পর্যন্ত খেলে যাওয়ার সামর্থ্য আছে মেসির।’
২০২৩ সালে নতুন ক্যাম্প ন্যুতে খেলা শুরু করবে বার্সা। বার্তেমেউয়ের চাওয়া অন্তত নতুন স্টেডিয়ামে পা রাখবেন মেসি, ‘আমরা যখন নতুন স্টেডিয়ামে খেলতে যাবো, তখন মেসিকে পাওয়াটা হবে দারুণ। অন্য দলের সভাপতিরা এসেই প্রথমে জিজ্ঞেস করবে, আজকে কী মেসি খেলবে? অন্য দলের সমর্থকেরা হয়তো তাদের দলকে সমর্থন করবে কিন্তু তারা ফুটবলের পূজারি। আর এজন্য তারা মেসির খেলা দেখতেও ভালোবাসে।’