গেটাফেকে ৬-০ গোলে হারিয়ে লা লিগার শীর্ষ স্থান ধরে রাখলো বার্সেলোনা। মেসি-সুয়ারেজ দুটি করে গোলের দিনে নেইমার ও জাভি করেন একটি করে গোল।
বার্সার গোল উৎসবের শুরু ৯ মিনিটে। লুইস সুয়ারেজকে গেটাফের ডি-বক্সের মধ্যে ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় কাতালানরা। পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করে নিতে বিন্দুমাত্র ভুল করেননি দলটির আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি।
দ্বিতীয় গোল পেতে বার্সেলোনাকে অপেক্ষা করতে হয় ১৬ মিনিট। এবারের গোলটি লুইস সুয়ারেজ পা থেকে। মেসির বাড়ানো ক্রস গোল পোস্টের সামনে পান কলম্বিয়ান এ স্ট্রাইকার। তা শরীরে ঠেকিয়ে মাটি ছোঁয়ার আগেই পৌছে দেন গেটাফের জালে।
মেসি-সুয়ারেজ যখন গোল পেয়েছেন তখন নেইমার কে কেন বঞ্চিত রাখবেন ফুটবল দেবতা। সুয়ারেজের গোল করার তিন মিনিট পর সুয়ারেজেরই বাড়ানো বল গোলে পরিনত করেন পেলে-সক্রেটিসের উত্তরসূরি।
২ মিনিটের ব্যবধানে আবারও গোল। মেসি-নেইমার-সুয়ারেজের দিনে গোল বঞ্চিত থাকেননি কাতালায়ন কান্ডারি জাভিও। নেইমারের বাড়ানো বল থেকে গোল করেন তিনি।
৪০ মিনিটে ম্যাচে দ্বিতীয় গোল করেন সুয়ারেজ। রাইট সাইড দিয়ে মেসি নেইমার বল এগিয়ে নিয়ে দেন জাভিকে। জাভি থেকে বল পান সুয়ারেজ। তা থেকে গোল আদায় করে নেন সুয়ারেজ। ৫-০ গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা।
৪৭ মিনিটে বার্সেলোনা ষষ্ঠ গোলটি করেন মেসি। জাভির বাড়ানো বল ডি-বক্সের ভেতর বুকে ঠেকিয়ে দুর্দান্ত শটে গেটাফের জালে পৌছে দেন তিনি।
এরপর গোল ব্যবধান বাড়ানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে গেলেও গোলের দেখা পায়নি বার্সেলোনা। শেষ পর্যন্ত ৬-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কাতালায়ন ক্লাবটি।
এই জয়ে পেছনে থাকা রিযাল মাদ্রিদ থেকে ২ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে শীর্ষ স্থান ধরে রাখলো বার্সেলোনা। রিয়ালের সাথে সমান ৩৩ ম্যাচ শেষে বার্সেলোনার পযেন্ট ৮১ আর রিয়ালের পয়েন্ট ৭৯।