মার্সেলোর বিকল্প হিসেবে ভালোই পারফরম্যান্স দেখাচ্ছেন সার্জিও রেগুইলন। ২২ বছর বয়সী এ লেফট-ব্যাকের কারণে ডাগআউটে বসে থাকতে হয় ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারকে। শনিবারের এল ক্ল্যাসিকোতে রেগুইলনের অন্যরূপও দেখেছে খেলা দেখতে বসা দর্শকরা। এ তরুণ দেখিয়ে দিয়েছেন শুধু মাঠের খেলাই নয়, মুখের কথাও সমানভাবে চলে তার!
শনিবারের ম্যাচে ১-০ গোলের জয় নিয়ে ফিরলেও রিয়ালের খেলোয়াড়দের কাছ থেকে বিরূপ অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরেছে বার্সেলোনা। খেলার মাঝখানে কয়েকবার দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন দুদলের খেলোয়াড়রা। সার্জিও রামোসের হাতের খোঁচায় লিওনেল মেসির মুখ ফেটে রক্ত বের হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। যদিও রেফারির চোখ এড়িয়ে যাওয়ায় লাল কার্ড থেকে বেঁচে যান রামোস।
রিয়াল অধিনায়ক রামোসের মতো সমানে কথা খরচ করেছেন রেগুইলন। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের এক সময় জেরার্ড পিকের সঙ্গে কথার জড়িয়ে পড়েছিলেন ২২ বছর বয়সী লেফট-ব্যাক। তাকে বোঝাতে এগিয়ে আসেন সুয়ারেজ।
শান্তভাবেই রেগুইলনকে বোঝানোর চেষ্টা করেন সুয়ারেজ। একপর্যায়ে তার ঘাড়ে হাত রেখে সুয়ারেজ বোঝানোর চেষ্টা করাতে বিষয়টি পছন্দ হয়নি রেগুইলনের। উরুগুয়ে ফরোয়ার্ডকে উদ্দেশ্য করে বলে বসেন, ‘তুমি হলে কুৎসিত।’ সুয়ারেজ এরপরও বোঝানোর চেষ্টা করলে একই কথার পুনরাবৃত্তি করতে থাকেন রেগুইলন।
সুয়ারেজকে উদ্ধার করতে মেসি এগিয়ে আসতেই তাকেও কথার গোলা ছোঁড়েন রেগুইলন, ‘এই তোমাকে কে খোঁচাচ্ছে, পুলগা!’ স্প্যানিশ ভাষায় পুলগা অর্থ হল মাছি!
রেগুইলনের কথা শুনে তেড়ে আসছিলেন মেসি। তবে রাফায়েল ভারানের চেষ্টায় সে যাত্রায় সেখানেই থেমে যান বার্সা অধিনায়ক।
ম্যাচ শেষে অবশ্য অপমানের শোধ তুলেছেন সুয়ারেজ। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার আগে দুই হাতে অঙ্গভঙ্গি করে রেগুইলনকে বুঝিয়েছেন, ‘হেরে কিন্তু কেঁদো না খোকা!’