লিওনেল মেসি ও নেইমারের গোলে এখন শুধু আর তাদের দলই জিতবে না বা সমর্থকদের আনন্দ দেবে দেবে না কেবল। দুই তারকার গোলে এখন থেকে মিলবে খাবারও। এমনই উদ্যোগ নিয়েছে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট এবং প্রযুক্তি কোম্পানি মাস্টারকার্ড। মেসি বা নেইমারের প্রতিটি গোলে মিলবে ১০ হাজার শিশুর স্কুল মিল। আর এটা দেয়া হবে লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে।
বৃহস্পতিবার মাস্টারকার্ড ঘোষণা দেয়, জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য প্রোগ্রামের (ডব্লিউএফপি) আওতায় আর্জেন্টাইন বা ব্রাজিলিয়ানের প্রতিটি গোলের জন্য ১০ হাজার শিশুর স্কুল মিল দেয়া দেবে। এটা যেকোনো অফিসিয়াল টুর্নামেন্টের গোল হলেই চলবে। এর আওতায় থাকছে ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপও।
এমন কাজে যোগ দেয়ার পর মেসি বলেছেন, ‘এই ক্যাম্পেইনের অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত। এটা হাজার হাজার শিশুর জীবন পাল্টে দেবে। আমি আশা করি এটা অনেকের মুখে হাসি ফোটাবে।’
মেসির মতো নিজের খুশির কথা জানিয়েছেন নেইমারও, ‘আমরা চাই এই অঞ্চলের (লাতিন ও ক্যারিবীয়) শিশুর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক এবং সেটা খুব ভালোভাবে।’
লাতিন আমেরিকার একতার কথা উল্লেখ করে পিএসজি তারকার সংযোজন, ‘আমরা জানি, লাতিন আমেরিকানরা এক হলে অনেক বড় কিছু করতে পারি। এটা তার একটা উদাহরণও। আমরা এক সঙ্গে ক্ষুধার বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করতে পারি।’
এই উদ্যোগ কিভাবে বিশাল অংশের মানুষের জন্য উপকারী হবে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন মাস্টারকার্ডের লাতিন ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক মুখপাত্র আনা ফারিল।
তিনি বলেন, ‘লাতিন আমেরিকার ৪০ মিলিয়নের বেশি মানুষ ক্ষুধায় ভোগে। এরমধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে। ক্ষুধা ও সন্তানের অপুষ্টি মোকাবেলা ও শিক্ষায় সহায়তা করা দারিদ্র্য চক্রের বিপরীতে একটি লড়াই।’
ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য চলতি এপ্রিলেই ’টুগেদার ইউ আর টেন’ নামে একটি ক্যাম্পেইন শুরু করেছে মাস্টারকার্ড। ক্যাম্পেইন শুরুর পর এপর্যন্ত ৩ লাখ মিল ডোনেট করেছে মাস্টারকার্ড। এটা ভবিষ্যতে আরও দ্রুত বাড়বে বলেই আশা কোম্পানিটির।