সবাই তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বললেও মুখে তা স্বীকার করেন না লিওনেল মেসি বা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। মাঠের খেলায় একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বিতা মেনে নিলেও দুজনেই বলেন মাঠের বাইরে তাদের উষ্ণ সম্পর্কের কথা। সেটা যে কাজের সঙ্গে মেলে না গতবছর প্রমাণ করেছিলেন রোনালদো, এবার যেন সেটিরই শোধ তুললেন মেসি!
আর্জেন্টিনার অধিনায়ক হিসেবে মেসি এবং পর্তুগালের অধিনায়ক হিসেবে রোনালদো ভোট দিয়েছেন ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড় বাছাইয়ে। গতবারও ভোট দিয়েছিলেন দুজনে, সেবার মেসি রোনালদোকে ভোট দিলেও আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে ভোট দেননি পর্তুগিজ সুপারস্টার।
এবার বিষয়টি পুরো উল্টে গেছে। বলা যায় মেসি যেন প্রতিশোধই নিলেন! ফিফা দ্য বেস্ট অ্যাওয়ার্ডে রোনালদোর ভোট মেসির পক্ষে গেলেও বার্সা দলপতি শোধ তুলেছেন জুভেন্টাস ফরোয়ার্ডের বিপক্ষে, এবার আর ভোট দেননি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে।
সর্বোচ্চ ৫২ ভোট পেয়ে রোনালদো-মেসিকে টপকে ফিফা দ্য বেস্ট হয়েছেন বায়ার্ন মিউনিখের পোলিশ ফরোয়ার্ড রবার্ট লেভান্ডোভস্কি। ৩৮ ভোট পেয়ে রোনালদো দ্বিতীয়, ৩৫ ভোটে মেসি হয়েছেন তৃতীয়। ক্রীড়া সাংবাদিক, জাতীয় দল কোচ ও অধিনায়কের ভোটে নির্বাচিত হন ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার।
কে কাকে ভোট দিয়েছেন তা উন্মোচিত হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, মেসি-রোনালদো দুজনেই তাদের ভোটে রেখেছেন লেভান্ডোভস্কিকে। মেসি প্রথমে রেখেছেন সাবেক বার্সা সতীর্থ ও পিএসজিকে ইউরোপ সেরার ফাইনালে তোলা নেইমারকে। দ্বিতীয় ভোটটি দিয়েছেন নেইমারের পিএসজি সতীর্থ কাইলিয়ান এমবাপেকে। তিনে রেখেছেন লেভান্ডোভস্কিকে।
রোনালদোর প্রথম ভোটটি পেয়েছেন লেভান্ডোভস্কি, দ্বিতীয়টি মেসি আর তৃতীয়টি এমবাপে। অর্থাৎ, রোনালদো এবার মেসিকে ভোট দিয়েছেন কিন্তু মেসি তাকে দেননি। গতবার রোনালদো ঠিক এই কাজটিই করেছিলেন।