বার্সেলোনা ছাড়ার পর লিওনেল মেসির পিএসজিতে যোগ দিয়েছেন কেবল পাঁচ মাস হয়েছে। ফ্রেঞ্চ ক্লাবটির হয়ে এখন পর্যন্ত ১৬ ম্যাচ খেলা এই আর্জেন্টাইন তারকা ৬ গোল করার পাশাপাশি করেছেন ৫টি অ্যাসিস্ট।
মাঠের খেলায় মেসি নিজের সেরা ছন্দে ফিরতে সময় লাগালেও তার উপস্থিতির প্রভাবটা বেশ ভালোভাবেই টের পাওয়া যাচ্ছে। প্যারিসে মেসির আগমনের পর এখন পর্যন্ত আটটি নতুন স্পন্সর জুটিয়ে ফেলেছে পিএসজি।
২০২০ সালে পিএসজির ব্যবসায়িক আয় ছিল ২৩৫ মিলিয়ন ইউরো, যার মধ্যে লাভের পরিমাণ ছিল ৫৪ শতাংশ। ২০২১ সালে সেটি আরও বাড়তে পারে।
গত গ্রীষ্ম মৌসুমে মেসিকে ৮০ মিলিয়ন ইউরো ব্যয় করে ফ্রেঞ্চ ক্লাবটি মেসিকে পিএসজি দলে টানে। খরচ করা সেই অর্থ তারা ইতোমধ্যে পুষিয়ে ফেলেছে।
সংবাদ সংস্থা ইএফইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে পিএসজির স্পন্সরশিপ ডিরেক্টর মার্ক আর্মস্ট্রং মেসি তাদের দলে আসার ইতিবাচক প্রভাব পড়ার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে জানিয়েছেন, ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ক্লাবের আয় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
‘কোপা আমেরিকায় মেসি তার সেরা ছন্দে ছিল, যা তিনি ইতোমধ্যেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দেখিয়েছেন। তবে দলে তিনি একা নন, দোন্নারুমা, হাকিমি এবং এমবাপেও আছেন।’
বিশ্বখ্যাত ক্রীড়া সামগ্রী প্রতিষ্ঠান নাইকি প্রতি বছর ৭৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে পিএসজিকে তাদের কিট বিতরণ ২০৩২ সাল পর্যন্ত চালিয়ে যাবে। সম্প্রতি কোকাকোলা ২০২৪ সাল পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করেছে।
পিএসজিতে মেসির চুক্তি স্বাক্ষরের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্লাবটির ১৫ মিলিয়ন ফলোয়ার বেড়েছে। লিগ ওয়ানের সম্প্রচারসত্ত্বের আয়ও বেড়েছে।
২০২১ সালে ফরাসি জায়ান্টরা এক মিলিয়ন শার্ট বিক্রি করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এতে মেসির আগমন ৩০-৪০ অবদান রেখেছেন।