পুরস্কার দেয়ার আগেই সবার মোটামুটি জানা হয়ে গিয়েছিল, লিওনেল মেসির হাতে ষষ্ঠবারের মতো ব্যালন ডি’অর উঠছে। কানকথা, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর উল্লাস দেখার জন্য ফ্রান্সমুখো হননি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ইতালিতে অবশ্য একদমই অলস কাটেনি জুভেন্টাস ফরোয়ার্ডের সময়। মেসির উজ্জ্বল রাতে পর্তুগিজ মহাতারকার হাতেও উঠেছে একটি পুরস্কার।
সোমবার রাতে বিশ্ব ফুটবলের নজর যখন ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠানের দিকে, তখন সিরি আ’র সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার নিতে মিলানে উড়ে গিয়েছিলেন রোনালদো। সঙ্গে ছিলেন বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজ ও এজেন্ট হোর্হে মেন্ডেস।
ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় মেসি ও লিভারপুল ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডাইকের সঙ্গে ছিল রোনালদোর নামও। ভোটে তৃতীয় হয়েছেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা। মোটামুটি এক সপ্তাহ ধরেই ফিসফাস ছিল, মেসির হতে যাচ্ছেন এবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। তাই আর ওদিকে যাননি সিআর সেভেন!
কেন গেলেন না রোনালদো? -এমন এক প্রশ্নই সুপার এজেন্টখ্যাত হোর্হে মেন্ডেসকে করে বসেন সাংবাদিকরা। জবাবে রোনালদোর এজেন্ট দিয়েছেন ঝাঁজালো উত্তর, ‘ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোই সর্বকালের সেরা আর সবাই সেটা জানে!’
মেন্ডেসের সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন জুভেন্টাসের স্পোর্টস ডিরেক্টর ফ্যাবিও পারাতিচি। রোনালদোর ব্যালন ডি’অর জেতা উচিত ছিল মন্তব্য করে তার বক্তব্য, ‘আমরা সব সময়ই বলি যে এসব পুরস্কারের ক্ষেত্রে র্যাঙ্কিং বিবেচনায় আনা একটি তর্কসাপেক্ষ বিষয়।’
অন্যদিকে মেসির ষষ্ঠ ব্যালন ডি’অরের কল্যাণে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে পেছনে ফেলে দিয়েছে বার্সেলোনা। সোমবারের আগে দুই দলের খেলোয়াড়দের ব্যালন ডি’অর সংখ্যাটা ছিল ১১টি করে। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের কল্যাণে সেই সংখ্যাকে ১২তে নিয়ে গেছে বার্সা।
বার্সা এবং রিয়ালের পর তৃতীয়স্থানে যৌথভাবে আছে এসি মিলান ও জুভেন্টাস। দুই দলের খেলোয়াড়রা ব্যালন ডি’অর জিতেছেন মোট ৮বার করে।