ন্যু ক্যাম্পে সেভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল লিওনেল মেসির মাইলফলক স্পর্শ করার। জাভি হার্নান্দেজ ও আন্দ্রে ইনিয়েস্তার পর তৃতীয় খেলোয়াড় হয়ে বার্সার ৬০০তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। এমন দিনে পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী গোল পাননি। এমন দিনেও অনন্য বার্সা। ক্ষুদে জাদুকরের কাজটি করে দিয়েছেন পাকো আলকাসের। স্প্যানিশ স্ট্রাইকারের জোড়া গোলে বার্সেলোনা ২-১ গোলে হারায় সেভিয়াকে।
এই জয়ের পর লা লিগায় এখন পর্যন্ত অপরাজিত কাতালানরা। শেষ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে ড্র করার পর লিগে এটি টানা তৃতীয় জয় ভালভার্দের ছাত্রদের।
ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যুতে খেলতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণ চালাতে থাকে মেসিরা। প্রথম ৫ মিনিটেই বেশ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করে বার্সেলোনা। মেসি ও সুয়ারেজের শট এই সময়ের মধ্যেই সেভিয়ার গোলরক্ষক ডেভিড সোরিয়া দক্ষতার সাথে ঠেকিয়ে দেন।
তবে একের পর এক আক্রমণ করে যাওয়া বার্সার গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয়নি বেশিক্ষণ। ২৩ মিনিটের মাথায় সুয়ারেজ লম্বা পাস দেন পাকো আলকাসেরকে। মাঝপথে এসকুদেরো বলটি পেলেও তা ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন। আর এর শাস্তিটাও পান সাথে সাথে। আলকাসের বলটি ডি-বক্সে পেয়েই ওয়ান টাচে সেটা জালে পাঠান।
এরপর বার্সা আরো কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও আর গোলের দেখা পায়নি। তাই এক গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় মেসিরা।
বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় অতিথি দল সেভিয়া। ৫৯ মিনিটে আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার পিসারোর দুর্দান্ত এক হেডে সমতায় ফেরে সেভিয়া। তবে সমতায় ফেরার আনন্দ পেরর মিনিটেই ধূলিসাৎ করে দেয় বার্সেলোনা।
বার্সার হয়ে আবারো গোল করেন আলকাসের। ইভান রাকিটিচের অসাধারণ এক ক্রস ডি-বক্সে খুঁজে নেয় এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডকে। আর এটাও ওয়ান টাচে জালে পাঠান এই তরুণ তারকা। এরপর ম্যাচে আর কোন গোল না হলে শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ভালভার্দের শিষ্যরা।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভ্যালেন্সিয়ার সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান চারে রাখল বার্সেলোনা। ১১ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট কাতালান জায়ান্টদের। ৮ পয়েন্ট পেছনে থেকে তিন নম্বরে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ (২৩)। বার্সেলোনা ১০ জয় ও একটি ড্রয়ে শিরোপা প্রত্যাশীদের তালিকায় এখনও এগিয়ে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ ২০ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে, রোববার লাস পালমাসের বিপক্ষে তারা মাঠে নামবে পয়েন্ট ব্যবধান কমানোর লক্ষ্যে।