সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক সুবল দাসকে মেলোডির কিং বললে ভুল হবে না। এই উপমহাদেশে কত শত বাংলা গানকে না তিনি মোহনীয় সুরে উপহার দিয়েছেন। বিশেষ করে প্লেব্যাক গানের সুরে তিনি নিজেকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। সুরবৈচিত্র্যে ভীষণরকম কূশলতা দেখিয়ে সাতরঙা এক গানের ভুবন গড়েছিলেন তিনি। এই উপমহাদেশের অনেক বড় সব শিল্পীর কণ্ঠেই তার সুরের আধুনিক ও সিনেমার গান গীত হয়েছে।
বাংলাদেশের আব্দুল আলীম, ফেরদৌসী রহমান থেকে শুরু করে রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, নার্গিস পারভীন, আবিদা সুলতানা, মাহমুদুন্নবী, আব্দুল জব্বার, বশীর আহমেদ-মীনা বশীর, খুরশীদ আলম, সৈয়দ আব্দুল হাদী, প্রবাল চৌধুরী-উমা চৌধুরী, এন্ড্রকিশোর সবাই তার সুরের গান গেয়েছেন। আবার পশ্চিমবাংলার মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যয়, সতীনাথ মুখোপাধ্যয়ও তার সুরের গান গেয়েছেন।
পাকিস্তানের মেহেদী হাসান, আইরীন পারভীন, মুজিব আলম, সালামাত আলী খান, নাজাকাত আলী খান তার সুরের একাধিক গান গেয়েছেন। ৫০ দশকের শুরুতে ভারতের বাংলা ছবির স্বর্ণযুগের শুরু হয়। তখন শচীন দেব বর্মণ, অনীল বিশ্বাস, সুধীন দাশগুপ্ত, হেমন্ত মুখোপাধ্যয়, নচিকেতা ঘোষ, সতীনাথ মুখোপাধ্যায়রা আধুনিক ও সিনেমা সঙ্গীতে আলো ছড়িয়ে চলেছেন।
এদিকে এই দশকের শুরুতে বাংলা সিনেমার সুরের জগতে আবির্ভাব ঘটে খান আতা, সমর দাস, ধীর আলী মিয়া, সুবল দাস, রবীণ ঘোষ, সত্য সাহাদের। দুই বাংলার এসব প্রতিভাবন গুনী সুরকারদের হাত ধরেই সিনেমার গান বিকশিত হতে থাকে। আমাদের দেশে সিনেমার গানে স্বর্ণযুগের বীজ রোপিত হয় ষাট দশকেই। সেই ধারাবাহিকতায় সত্তুর ও আশির দশক নিঃসন্দেহে আমাদের সিনেমার গানের সোনালী সময়।
সিনেমার এই স্বর্ণযুগের সাথে মিশে আছে প্রখ্যাত সুরকার সুবল দাসের নামও। তিনি প্রয়াত হয়েছেন ২০০৫ সালের ১৬ আগস্ট। ১৬ বছর পার হয়ে গেল। কিন্তু বিশ্রুত হননি। তার সুরের সিনেমার গানগুলো তাঁকে বাঁচিয়ে রেখেছে । তাই তিনি হয়ে আছেন অমর অক্ষয়। তার কতো না গানের সুরে মুক্তো ঝরেছে।
ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সৈয়দ শামসুল হক, মাসুদ করীম, মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের মতো গীতিকারসহ অসংখ্যজনের কথাকাব্যকে মিষ্টি সুরের বিনুনী দিয়েছেন। আর সেই গান সৈয়দ আব্দুল হাদী, খুরশীদ আলম, রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন প্রবাল চৌধুরী, এন্ড্রকিশোরের কণ্ঠে গীত হয়ে রাজ্জাক, কবরী, শাবানা, ববিতার লিপে যুগ যুগ ধরে সঙ্গীত পিপাসুদের মন জয় করে নিয়েছে। সিনেমার যে সব পরিচালকের সাথে তার আত্মার বন্ধন তৈরি হয়েছিল তারা হলেন নজরুল ইসলাম, সুভাষ দত্ত, দিলীপ সোম, কামাল আহমেদ, হাফিজ উদ্দিন, এফ কবীর চৌধুরী।
সুবল দাসের সঙ্গীতে হাতে খড়ি ছিল একেবারে শৈশবে। পরিবারের সবাই গানবাজনা ভালোবাসতেন বলেই গানের সাথে তার যোগসূত্র তৈরি হতে সময় লাগেনি। তবে জীবনের শুরুতে তিনি আত্মপ্রকাশ করেন ফুটবল খেলোয়াড় এবং যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পী হিসেবে। সেতার বাদক হিসেবে ওস্তাদ ইসরাইল খাঁর সান্নিধ্য লাভ করেন। ওস্তাদ ইসরাইল খাঁ ছিলেন প্রখ্যাত ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর ভাগ্নে। পরে ওস্তাদ খাদেম হোসেন খান, ওস্তাদ আয়েত আলী খার কাছ থেকে যন্ত্রসঙ্গীতের ওপর তালিম নেন তিনি। সঙ্গীত এবং ফুটবল মাঠ যুগপৎ নিজেকে মেলে ধরতেই একসময় তিনি কুমিল্লা থেকে রাজধানী ঢাকাতে চলে আসেন।
আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবের গোলরক্ষক হিসেবে প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগে খেলা শুরু করেন। কিন্তু সঙ্গীতের প্রতি বড় বেশি আগ্রহ থাকায় একসময় ফুটবল ছেড়ে দেন। ফুটবল খেলা ছেড়ে দিয়ে আত্মনিয়োগ করেন শুধু সঙ্গীতেই। পাকিস্তান আমলে রেডিওতে চাকরি নেন। টেলিভিশনেও সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। কিন্তু পরবর্তীতে চলচ্চিত্রেই তিনি ঝুঁকে পড়েন বেশি।
সুরকার নচিকেতা ঘোষ, শ্যামল মিত্র, রবিন চট্টপাধ্যয়, হেমন্ত মুখোপাধ্যয়-এর মতো সঙ্গীত ব্যক্তিত্বদের সংস্পর্শে আসাটাও তার জীবনের বড় পাওয়া। পরিপূর্ণ একজন সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে তিনি আত্মপ্রকাশ করেন মূলত ১৯৫৯ সালে। এ বছরে তার সঙ্গীত পরিচালনায় প্রথম মুক্তি লাভ করে ফতেহ লোহানী পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘আকাশ আর মাটি’। এফডিসির তত্ত্বাবধানে নির্মিত এটিই ছিল এদেশের প্রথম ছবি। উল্লেখ্য ঔ একই বছরে নির্মিত হয়েছিল আকাশ আর মাটিসহ মাত্র চারটি ছবি।
অন্য ছবিগুলো হলো মহিউদ্দিন পরিচালিত মাটির পাহাড়, এহতেশাম পরিচালিত এদেশ তোমার আমার এবং এজে কারদার পরিচালিত জাগো হুয়া সাবেরা। এই ছবিতে ফতেহ লোহানীর সাথে সুবল দাস প্রথম কাজ শুরু করেন ১৯৫৭ সালে। এই ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করতে গিয়ে সুবল দাসের সাথে প্রথম সাক্ষাত ঘটেছিল ভারতের বিখ্যাত গীতিকার গৌরিপ্রসন্ন মজুমদারের। ৬৩ সালে সুবল দাস সঙ্গীত পরিচালনা করেন মসউদ চৌধুরী পরিচালিত ‘প্রীত না জানে রীত’।
এ ছবিটিও সে সময় দারুণ জনপ্রিয়তা লাভ করে। এরপর ৬৫ সালে সঙ্গীত পরিচালনা করেন নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘কাজল’ চলচ্চিত্রের। ৬৭ সালে সঙ্গীত পরিচালনা করেন ‘ভানুমতি’ এবং ‘আলীবাবা’ ছবির। এ ভাবেই নিজের প্রতিভা বিকশিত করে আস্তে আস্তে এগুতে থাকেন তিনি। ষাট দশকের শেষ লগ্নে সুবল দাস বলা যায় সিনেমার গানে এক অন্যরকম পরিবর্তন আনেন হ্নদয় ছোঁয়া কিছু গান সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে। ৭০ সালে তার সঙ্গীত পরিচালনায় মুক্তি পায় রফিকুল বারি চৌধুরী পরিচালিত ‘তানসেন’, নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘দর্পচূর্ণ’, স্বরলিপি এবং রহিম নেওয়াজ পরিচালিত ‘যোগবিয়োগ’ ছবি। এ সময়ে দারুণ এক উত্থান ঘটে সুবল দাসের। এসব ছবির প্রতিটি গানই শ্রোতা ও দর্শকদের হ্নদয় জয় করতে সক্ষম হয়।
সুরকার সুবল দাস-ই ‘স্বরলিপি’ ছবিতে রুনা লায়লাকে দিয়ে- গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে…এই গানটিতে প্লেব্যাক করান। ‘স্বরলিপি’ ছবির সবকটি গানই এখনও সেই আগের মতোই জনপ্রিয় হয়ে আছে। আইরীন পারভীন এবং মুজিব আলমের দ্বৈতকণ্ঠে গাওয়া ‘তানসেন’ ছবিতে ‘তুমি সুন্দরও হে এসো না, মধুমিতা নামে ডাক না’ রাগনির্ভর এই গানটি আজো অন্যরকম এক সিগ্ধতা নিয়ে আছে। আশির দশকে সিনেমার সঙ্গীতে অন্যরকম এক পরিবর্তনের সূচনা করেন সুবল দাস। সামাজিক ছবির পাশাপাশি অ ফ্যান্টাসি ছবির সঙ্গীত পরিচালনাও করতে থাকেন।
এখানেও মেলোডি নির্ভর গানকে অগ্রাধিকার দেন। প্রতিটি গানের সুরে অন্যরকম এক উচ্ছাস যুক্ত করেন। দারুণভাবে সফলও হন। এ সময়ে এফ কবীর চৌধুরী পরিচালিত রাজমহল, শীষনাগ, পদ্মাবতী, সওদাঘর, নরমগরম এ সব ছবিতে এক অন্যরকম সুরের ঝংকার তোলেন। পাশাপাশি প্রায় একই সময়ে তার সঙ্গীত পরিচালনায় চিৎকার, গায়ের ছেলে, অনুরাগ, পুত্রবধূ, দোস্তি, হারানো মানিক, লালুভুলু, ঝুমুর, গৃহলক্ষী , সোনার সংসার মতো সামাজিক-পারিবারিক ছবিও সুপার হিট করে। আশির দশকে এফ কবির চৌধুরীর পদ্মাবতী, সওদাঘর, নরমগরম ছবিতেও তিনি অসাধারণ কিছু মিষ্টি গান সৃষ্টি করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘এই বৃষ্টি ভেজা রাতে চলে যেও না’, ‘ওরে ও বাঁশিওয়ালা’, ‘মনেরই ছোট্ট ঘরে’। সুবল দাস ছিলেন সত্যিকার অর্থে মিষ্টি সুরের এক অনন্য স্রষ্টা। তাঁর সুরের দর্পচূর্ণ ছবির ‘তুমি যে আমার কবিতা’ কালজয়ী হয়ে আছে। যেমনটি হয়ে আছে রুনা লায়লার কণ্ঠে গাওয়া ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে’। আবার সাবিনা ইয়াসমিনের কণ্ঠে আলিফ লায়লা ছবির সেই সুমধুর গান ‘ডাকে বারে বারে কে আমারে’-মন ছুঁয়ে যায়। মেলোডিয়াস গানের প্রতি দারুণরকম দুর্বল ছিলেন তিনি। কেউ মেলোডিয়াস সমৃদ্ধ গান করলে তার অকুন্ঠ প্রশংসা করতে ভুল করতেন না।
সুবল দাস মনে করতেন বাঙালি ঘরানায় মেলোডিয়াস গানের অগ্রদূত হলেন কাজী নজরুল ইসলাম। ব্যক্তিগত জীবনে প্রচন্ডরকম অন্তমুখী এক মানুষ ছিলেন তিনি। প্রচার-প্রচারণায় একদমই বিশ্বাস করতেন না। আর এ কারণেই সঙ্গীতে তার অনেক অবদান থাকলেও তিনি খানিকটা অপ্রকাশিত থেকে গেছেন। নিরংহকারী এবং উদার মনের মানুষ হিসেবেও তিনি বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন। সুবল দাসের মৃত্যুর পর তার প্রতি চরম অসম্মান প্রদর্শন করা হয় রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। দেশের সঙ্গীতের জন্য সারাজীবন সাধনা আর পরিশ্রম করে গেলেও তার মৃত্যুতে সেসময় শোক প্রকাশ করেনি রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কেউ।
শুধু এই নয়, এখন পর্যন্ত কোনো রাষ্ট্রীয় পুরস্কারে ভূষিত করা হয়নি তাকে। নিজের সৃষ্টির মাঝেই কেবল অমরত্ব লাভ করে আছেন তিনি।
সুবল দাসের সুরের সিনেমার জনপ্রিয় শত গান ১. তুমি সুন্দরও হে এসো না, মধুমিতা নামে ডাক না (ছবি; তানসেন, শিল্পী: আইরীন পারভীন/মুজিব আলম), ২. সজনী রজনী বৃথা চলে যায় (ছবি: স্বর্ণকমল, শিল্পী: ফেরদৌসী রহমান, আঞ্জুমান আরা বেগম ও সাবিনা ইয়াসমিন), ৩. এই পৃথিবীতে তবে কী আমার নেই কোনো ঠাঁই (ছবি: আকাশ আর মাটি, শিল্পী: মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যয়), ৪. তুমি যে আমার কবিতা (ছবি: দর্পচূর্ণ, শিল্পী: মাহমুদুন্নবী/ সাবিনা ইয়াসমিন), ৫. ও মেয়ের নাম দিব কী ভাবি শুধু (ছবি: স্বরলিপি, শিল্পী: মাহমুদুন্নবী), ৬. এক অন্তবিহীন স্বপ্ন ছিল-মাহমুদুন নবী (ছবি: স্বরলিপি, শিল্পী: মাহমুদুন্নবী), ৭. গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে (ছবি: স্বরলিপি, শিল্পী: রুনা লায়লা), ৮. তোমাদের ঐ রাজপ্রাসাদে তোমরা থাক (ছবি: স্বরলিপি, শিল্পী: মাহমুদুন্নবী), ৯. মাইয়া পুরুষ দুনিয়ায়, মিইল্লা মিশা ঘর বানাই (ছবি: অভাগী, শিল্পী: সৈয়দ আব্দুল হাদী), ১০. চারা গাছে ফুল ফুটাইছে ডাল ভেঙ্গনারে (ছবি: অনেক দিন আগে: শিল্পী: নীনা হামিদ ও সৈয়দ আব্দুল হাদী) ১১. দেখ ফুলবাগানে কত সঙ্গোপনে (ছবি: অনেক দিন আগে: শিল্পী: সাবিনা ইয়াসমিন), ১২. অনেক প্রেমে রাঙানো আমার এ মন (ছবি: অনেক প্রেম অনেক জ্বালা, শিল্পী: সাবিনা ইয়াসমিন), ১৩. অভিমানী গো কথাটি শোনো এসো না কাছে (ছবি: উপহার, শিল্পী: খুরশীদ আলম), ১৪. শূন্য হাতে আজ এসেছি নেইতো কিছু আর (ছবি: উপহার, শিল্পী: সৈয়দ আব্দুল হাদী), ১৫. এই পৃথিবীর পান্থশালায় গাইতে এসে গান ( ছবি: যোগবিযোগ, শিল্পী: সৈয়দ আব্দুল হাদী), বলাকা মন হারাতে চায় (ছবি: যোগবিয়োগ, শিল্পী: ফেরদৌসী রহমান) ১৬. কত না কথা কত না কথা শুনেছি এ জীবনে আমার (ছবি: যোগবিয়োগ, শিল্পী: সাবিনা ইয়াসমিন এবং রাজ্জাক), ১৭. আমি সাতসাগর পাড়ি দিয়ে (ছবি: আলো তুমি আলেয়া, শিল্পী: মাহমুদুন্নবী), ১৮. ওগো মনোমিতা কিছু বলো আজ (ছবি: আলো তুমি আলেয়া, শিল্পী: সাবিনা ইয়াসমিন), ১৯. তোমাদের সুখের এই নীড়ে (ছবি: আলো তুমি আলেয়া, শিল্পী: সৈয়দ আব্দুল হাদী), ২০. দিনে দিনে ছোট্ট পাখির কথায় কখন এল চঞ্চলতা (ছবি: আলো তুমি আলেয়া, শিল্পী: সাবিনা ইয়াসমিন, সৈয়দ আব্দুল হাদী)। ২১. আমি মানুষের মতো বাঁচতে চেয়েছি এই কী আমার অপরাধ (ছবি: ভালো মানুষ, শিল্পী: প্রবাল চৌধুরী), ২২. যে কথা নীরবে ভাষা খোঁজে (ছবি: ভালো মানুষ, শিল্পী: সাবিনা ইয়াসমিন), ২৩. তুমি রাহিম তুমি কারিম তুমি রাহমান (ছবি: ভালো মানুষ, শিল্পী: সৈয়দ আব্দুল হাদী-সাবিনা ইয়াসমিন), ২৪. শোনাব কী গান আমার এ প্রাণ ভাষা খুঁজে শুধু মরে ( ছবি: বিসর্জন, শিল্পী: সাবিনা ইয়াসমিন), ২৫. সামাল সামাল সামাল সাথী (ছবি: ওয়াদা, সৈয়দ আব্দুল হাদী), ২৬. সন্ধ্যারও ছায়া নামে এলোমেলো হাওয়ায় (ছবি: পুত্রবধূ, শিল্পী: সাবিনা ইয়াসমিন), ২৭. জীবনও আধারে, পেয়েছি তোমারে (ছবি: পুত্রবধূ, শিল্পী: আব্দুল জব্বার ও সাবিনা ইয়াসমিন), ২৮. সুরের আগুনে পুড়ে আমার হ্নদয় সোনা হলো (ছবি: পুত্রবধূ, শিল্পী: আব্দুল জব্বার ও সাবিনা ইয়াসমিন), ২৯. মনটা ছিল পথে পড়ে বুকে ছিল ব্যথার ঢল (ছবি: চিৎকার, শিল্পী: সাবিনা ইয়াসমিন), ৩০. জীবন ফুরিয়ে গেল, দুঃখ ফুরালো না (ছবি: চিৎকার, শিল্পী: সৈয়দ আব্দুল হাদী)। ৩০. শিল্পী আমি শিল্পী তোমাদেরই গান শোনাব (ছবি: শিল্পী, শিল্পী রুনা লায়লা), ৩২. কত যে ভালোবাসি তোমাকে (ছবি: দোস্তী, শিল্পী: প্রবাল চৌধুরী-উমা ইসলাম), ৩৩. বাঁকা চোখে না না চেও না (ছবি: দোস্তী, শিল্পী: উমা খান), ৩৪. চলে যায় যদি কেউ বাঁধন ছিঁড়ে কাঁদিস কেন মন ( ছবি ভাঙ্গাগড়া, শিল্পী: সৈয়দ আব্দুল হাদী), ৩৫. শত্রু তুমি বন্ধু তুমি (ছবি অনুরাগ: শিল্পী: আব্দুল জব্বার) ৩৬. কত ভালো লাগে এই দিন (ছবি:অনুরাগ, শিল্পী: সৈয়দ আব্দুল হাদী ও সাবিনা ইয়াসমিন), ৩৭. ওরে ও বাঁশিওয়ালা-কুমার বিশ্বজিত ( ছবি: নরম গরম, শিল্পী: কুমার বিশ্বজিত ও অঞ্জু ঘোষ), ৩৮. এই বৃষ্টি ভেজা রাতে চলে যেওনা (ছবি: নরম গরম, শিল্পী: রুনা লায়লা), ৩৯. ভালোবাসার স্বপ্নে ঘেরা এইতো আমার ঘর (ছবি গৃহলক্ষী: শিল্পী: রুনা লায়লা), ৪০. আমার নাম সুমন, এমন একটা মন (ছবি: ভালো মানুষ, শিল্পী: সৈয়দ আব্দুল হাদী)। ৪১. কিছু বলতে ইচ্ছে করে, কিছু শুনতে ইচ্ছে করে ( ছবি: গায়ের ছেলে, শিল্পী: রুনা লায়লা), ৪২. দিন দুপুরে মনের ঘরে সিঁধ কাটালো কে ( ছবি: গায়ের ছেলে, শিল্পী: রুনা লায়লা), ৪৩. চোখে আমার প্রেমের কাজল (ছবি: গায়ের ছেলে, শিল্পী: রুনা লায়লা), ৪৪. শহর থেকে দূরে (ছবি: শহর থেকে দূরে, শিল্পী: সাবিনা ইয়াসমিন), ৪৫, মা তুই বেহেস্তেরই ফুলের হাসি মা (ছবি: শহর থেকে দূরে, শিল্পী: খুরশীদ আলম) ৪৬. পথের মানুষ আমিরে ভাই পথেই ঠিকানা ( ছবি: ঘরণী, শিল্পী: সৈয়দ আব্দুল হাদী), ৪৭. কোথায় যাব বন্ধু বলো কোথায় আমার ঘর ( ছবি: হারানো মাণিক, শিল্পী: প্রবাল চৌধুরী), ৪৮. কি নাম দেব তোমার জানি নাতো (ছবি: অঙ্গীকার, শিল্পী: সৈয়দ আব্দুল হাদী), ৪৯. কথা দাও আমাকে বন্ধু চিরদিন আমারই রবে ( ছবি: আওয়ারা, শিল্পী: সাবিনা ইয়াসমিন ও এন্ড্রকিশোর, ৫০. রাতের কোলে মাথা রাইখা আসমানের চাঁদ ঘুমাই ওরে ( ছবি: গলি থেকে রাজপথ, শিল্পী: সৈয়দ আব্দুল হাদী)। ৫১. যদি বউ সাজো গো (ছবি: ওয়াদা, শিল্পী: খুরশীদ আলম), ৫২. শোনো আমার ফরিয়াদ ছবি: (ছবি: লালু ভুলু, শিল্পীী: খুরশিদ আলম), ৫৩. আমার মনতো বসে না কাজে (ছবি: অনুরাগ, শিল্পী: মলয় কুমার গাঙ্গুলি) ৫৪. দোহায় লাগে সুজন ক্ষমা করে দাও আমায় (ছবি: পদ্মাবতী, শিল্পী: বশির আহমেদ ও রুনা লায়লা), ৫৬. পদ্মাবতী বেদেনী আমার প্রাণ সজনী ( ছবি: পদ্মাবতী, শিল্পী: রুনা লায়লা), ৫৭.মনের এই ছোট্ট ঘরে, আগুন লেগেছে হায়রে (ছবি: সওদাগর, শিল্পী: সাবিনা ইয়াসমিন), ৫৮. ও আমার মরমীয়া পাষাণে বেঁধছ হিয়া (ছবি: সওদাগর, শিল্পী: রুনা লায়লা), ৫৯. ওরে মনোচোরা তুমি পড়ে গেছ ধরা (ছবি: সওদাগর, শিল্পী: রুনা লায়লা), ৬০. আমার মতো অভাগী আর নাই ( ছবি: ভানুমতি, শিল্পী: ফেরদৌসী রহমান)। ৬১. ঘূর্ণি চাকায় ঘুরছে জীবন এই শহরে ভাই ( ছবি: অনির্বাণ, সৈয়দ আব্দুল হাদি), ৬২. যা কিছু বলুক লোকে কী আসে যায় বা তাতে ( ছবি: অনির্বাণ, সৈয়দ আব্দুল হাদি), ৬৩. ভীরু প্রাণে এলো ভালোবাসা ( ছবি: অনির্বাণ, শিল্পী: সাবিনা ইয়াসমিন), ৬৪. ডাকে বারে বারে কে আমারে (ছবি: শিরি ফরহাদ, শিল্পী: সাবিনা ইয়াসমিন), ৬৫. রূপনগরের রাজা, তুমি আজ পাবে সাজা ( ছবি: রাজমহল, শিল্পী: রুনা লায়লা, ৬৬, একি বাঁধনে বলো জড়ালে আমায় (ছবি: তালুকদার, শিল্পী: আবিদা সুলতানা), ৬৭. মনে আমার এ কোনো ভাবনা (ছবি: তালুকদার, শিল্পী: নার্গিস পারভীন)। ৭১. আজকের এই চাঁদের আলো লাগে কত ভালো ( ছবি: সোনার সংসার, শিল্পী: রুনা লায়লা), ৭২. দিন কাটে যেমন তেমন রাত কাটে না (ছবি: সোনার সংসার, শিল্পী: সাবিনা ইয়াসমিন), ৭৩. মন একবার ভালবেসেছে যারে (ছবি: অবদান, রুনা লায়লা ও খুরশীদ আলম), ৭৪. বন্ধু থেকে আমি বধূ হয়েছি (ছবি: বিধান, শিল্পী: রুনা লায়লা ও এন্ড্রু কিশোর), ৭৫. বুকে আছে মন মনে রয়েছ তুমি (ছবি: বুলবুল এ বাগদাদ, শিল্পী: রুনা লায়লা), ৭৬. নাগিনী সাপিনী এই তোরা আয় ( ছবি: রাজমহল, শিল্পী: রুনা লায়লা), ৭৭.আরে লাল গোলাপী অঙ্গে আমার (ছবি: রাজনন্দিনী, শিল্পী: রুনা লায়লা), ৭৮. প্রেম জানে না বন্ধু আমার (ছবি: চন্দ্রাবতী, শিল্পী: রুনা লায়লা), ৭৯. সজনী গো ভালোবেসে এতো জ্বালা (ছবি: ঝুমুর, শিল্পী: সৈয়দ আব্দুল হাদী), ৮০. একটি রাতের গল্প তুমি (ছবি: মর্জিনা, শিল্পী: রুনা লায়লা)। ৮১. পিতলের কলসী হলে হায়রে ((ছবি: আবে হায়াত, শিল্পী: রুনা লায়লা), ৮২. ভালোবাসার এই পিঞ্জিরায় বন্দী হলাম ( ছবি: রাজকপাল, শিল্পী: রুনা লায়লা), ৮৩. আমায় ঘুমে থুইয়া করলা চুরি(ছবি: মধুমতি, শিল্পী: সাবিনা ইয়াসমিন), ৮৪. পূর্ণিমারও চাঁদ তুমি নয় ( ছবি: রাজসিংহাসন, শিল্পী: বশির আহমেদ ও মীনা বশির), ৮৫. এসো ওয়াদা করি তুমি আমি দুজনে (ছবি: শীষনাগ, শিল্পী: রুনা লায়লা), ৮৬. কাছে আমার বধুয়া, ফুরালো পথ চলা (ছবি: মায়ের দাবি, শিল্পী: সৈয়দ আব্দুল হাদী ও সাবিনা ইয়াসমিন), ৮৭. সাক্ষী থাইকো বর্ষা রাণী অন্ধার রজনী ( ছবি: লায়লা আমার লায়লা, শিল্পী: এন্ড্রু কিশোর ও সাবিনা ইয়াসমিন), ৮৮. যেওনা মাগো তুমি যেওনা ( ছবি: অবুজ সন্তান, শিল্পী: সাবিনা ইয়াসমিন), ৮৯. কী হতে কী হয়ে গেছে ( ছবি: উজ্জ্বল সূর্যের নীচে, শিল্পী: আবিদা সুলতানা), ৯০. দেখুক লোকে বলুক লোকে আমি করি আমার যা মন চাই ( ছবি: ওয়াদা, শিল্পী: রুনা লায়লা)। ৯১. যে মুখে মুক্তো ঝরে, কেন তা মেঘে ভরে ( ছবি: এরাও মানুষ, শিল্পী: মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী) ৯২. দুচোখে কাজল কালো ছন্দ (ছবি: হাসিকান্না, শিল্পী: সৈয়দ আব্দুল হাদী), ৯৩. যেদিকেই তুমি দেখবে দুচোখে (ছবি; স্বামী-স্ত্রী, শিল্পী: সাবিনা ইয়াসমিন), ৯৪. আমার বুকের ফুলদানিতে তোমায় ভালবেসে, তোমায় নামের একটি গোলাপ রেখে দিলাম হেসে ( ছবি; অন্ধবিশ্বাস, শিল্পী: সাবিনা ইয়াসমিন), ৯৫. ঝুমুর বাজে ছমছমা ছম ( ছবি: ঝুমুর, শিল্পী: রুনা লায়লা), ৯৬. এনেছো তুমি বন্ধু ফাগুন এ জীবনে (ছবি: প্রায়শ্চিত্ত, শিল্পী: রুনা লায়লা), ৯৭. ভালোবাসার মণিহারে তোমাকে সাজালাম (ছবি: অগ্নিকন্যা, শিল্পী: সৈয়দ আব্দুল হাদী), ৯৮. এ জীবনে তুমি ওগো এলে ( ছবি: গরিবের বউ, শিল্পী: সাবিনা ইয়াসমিন), ৯৯. আমার যা কিছু সবইতো তোমার জন্য (ছবি: রাঙ্গাভাবী, শিল্পী: সাবিনা ইয়াসমিন-সুবীর নন্দী), ১০০. আমার হাতে পরিয়ে দিলে মায়েরই কাকন (ছবি: রাঙ্গাভাবী, শিল্পী: সাবিনা ইয়াসমিন)।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)