পঞ্চম শ্রেণী থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত মেধা ও সাধারণ বৃত্তির সংখ্যা বাড়িয়েছে সরকার। সেই সাথে বেড়েছে অর্থের পরিমাণও। একইসঙ্গে উপবৃত্তির ক্ষেত্রেও শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও অর্থ বাড়ানো হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিন বছর মেয়াদে প্রাথমিকে মেধা বৃত্তি দেওয়া হতো ২২ হাজার শিক্ষার্থীকে। তবে এখন থেকে এই সংখ্যা ৫০ শতাংশ বেড়ে ৩৩ হাজার। সাধারণ বৃত্তির সংখ্যাও ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে ৩৩ হাজার সাড়ে ৪৯ হাজার করা হয়েছে। জেএসসিতে মেধা বৃত্তি প্রায় দ্বিগুণ করে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯ হাজার ৮শ থেকে হয়েছে ১৭ হাজার ৭শ। আর সাধারণ বৃত্তি ২১ হাজার শিক্ষার্থীর পরিবর্তে এখন পাবে সাড়ে ৩১ হাজার শিক্ষার্র্থী।
পিইসিতে মেধাবৃত্তি একশ’ টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে তিনশ’ টাকা। আর জেএসসিতে মেধাবৃত্তি তিনশ’ টাকার পরিবর্তে সাড়ে ৪শ’ টাকা করা হয়েছে। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও একই সুবিধা পাবে। একইভাবে এসএসসি, এইচএসসি, আলিম, স্নাতক (সম্মান ও পাস), ফাজিল ও স্নাতকোত্তার শ্রেণী সব ক্ষেত্রেই বেড়েছে সংখ্যা ও আর্থিক সুবিধা।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন বলেন, ছাত্র সংখ্যা বাড়লেও সে তুলনায় বৃত্তির সংখ্যা বাড়ে নাই। বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে, সেজন্য আমরা পঞ্চম শ্রেণী থেকে যে পরীক্ষাগুলো আছে সেগুলোতে মেধা বৃত্তি ডাবল করতে পেরেছি।
শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধি পাওয়ায় এর ইতিবাচক ফল দু’এক বছরের মধ্যেই পাওয়া যাবে। ফাহিমা খাতুন আরো বলেন, এটা সরকারের খুব ভালো উদ্যোগ। আমরা সব সময় চেষ্টা করি ছাত্ররা যেন ঝরে পড়ার হাত থেকে বেঁচে যায়। এর ফলে, ছাত্ররা উচ্চ শিক্ষায় আরো উৎসাহিত হবে।
সাধারণ ও মেধাবৃত্তির পাশাপাশি সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের জন্যও বৃত্তির সংখ্যা ও আর্থিক সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। প্রথমবারের মতো বৃত্তি ও উপবৃত্তিতে যুক্ত হয়েছে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, অন্যান্য প্রতিবন্ধী এবং অটিস্টিক শিশুরা।
শিক্ষক, শিক্ষক প্রশিক্ষকসহ পেশামূলক উপবৃত্তির সংখ্যা ও আর্থিক সুবিধাও বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সুপারিশ পাস করায় আগামী মাস থেকেই বৃত্তির বাড়তি টাকা পাবে শিক্ষার্থীরা।