চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মেধার মাধ্যমে ৮০ শতাংশের নিয়োগ প্রয়োজন মনে করেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে কোটা বিষয়ে চলমান আন্দোলনের মধ্যে চ্যানেল আই অনলাইনের কাছে নিজের অবস্থান জানিয়েছেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার।

মেধার মাধ্যমে ৮০ শতাংশ নিয়োগ প্রয়োজন বলে মনে করেন সাবেক এ মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

চলমান কোটা ব্যবস্থার বিষয়ে সাবেক এ মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান কোটা ব্যবস্থা বাতিলের প্রয়োজন নেই তবে প্রয়োজন সংশোধনের।

বিদ্যমান ৫৬ শতাংশ কোটায় নিয়োগের বিষয়ে তিনি কোটা ব্যবস্থা থাকবেই উল্লেখ করে বলেন: ‘কোটার বিষয়ে সবসময় যেমন বলে এসেছি ঠিক তেমনটাই বলবো কোটা থাকবে সমসময় ছিলো। বিদেশিরা যখন শাসন করেছে তখন যেমন কোটা ছিলো তেমনি পাকিস্তান আমলেও কোটা ছিলো ঠিক একইভাবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পরও কোটা রয়ে গেছে। কোটা থাকবেই। কিন্তু সেটা এত বেশি পরিমাণে না। এত বেশি পরিমাণ শিক্ষার্থী বা চাকরিপ্রার্থীকে কোটার মাধ্যমে নিয়োগ না দিয়ে কোটার হার কমিয়ে আনতে হবে। বাড়াতে হবে মেধায় নিয়োগ। মেধার মাধ্যমে নিয়ো দিতে হবে ৮০ শতাংশ।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সাথে সহমত পোষণ করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আলী ইমাম মজুমদার বলেন: ‘আমি মনে করি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কোটা সংস্কার আদোলনকারীদের যে আশ্বাস দিয়েছেন, তার প্রতি আস্থা রেখেই শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন থেকে সরে অাসা উচিত।’

এর আগে সোমবার সরকারি চাকরিতে কোটা পূরণের ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা পরিপত্রে কোটা বিষয়ে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এক অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় এ নির্দেশ দিয়েছেন বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম খান এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করে আসা শিক্ষার্থীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সমন্বয়ক হাসান আল মামুন লিখিত এক বক্তব্যে বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে কোটায় প্রার্থী না পাওয়া গেলে তা মেধায় পূরণ করা হবে, কিন্তু ২ এপ্রিল একটি মন্ত্রণালয় থেকে কোটা বিষয়ক ধোঁয়াশাপূর্ণ ও অস্পষ্ট পরিপত্র জারি করা হয়েছে। যা প্রধানমন্ত্রীর কোটা শিথিল ঘোষণার সাথে সাংঘর্ষিক বলে আমরা মনে করি।

এতে আরো বলা হয়, তারা সকল সরকারি চাকরি ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর কোটা শিথিল বিষয়ক ঘোষণা পূর্ণ বাস্তবায়ন চান ও বিদ্যমান বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কারের ৫ দফা দাবির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান।

আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে সরাসরি সাক্ষাতের মাধ্যমে বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কারের বিষয়ে আলোচনায় বসতেও চেয়েছিলেন।

এদিকে সোমবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের আলোচনায় বসে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতদের সঙ্গে।

সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার পর সরকারের আশ্বাসে ১ মাসের জন্য কোটা সংস্কার আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এ আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসান আল মামুন।