ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ মেধাবীরাই যেন সুযোগ পায়। মেধাহীনদের একজনও যেন জালিয়াতি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ না পায়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে, সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে উচ্চপ্রযুক্তি ব্যবহার করে পরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করার আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুযা) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি এ আহ্বান জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা ২০১৮কে সামনে রেখে সম্মিলিত শিক্ষার্থীর ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক সংসদের সভাপতি রাকিব হাসানা সিরাজীর সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, স্লোগান একাত্তরের সভাপতি কাজী সুজন মিয়া, নাট্য সংসদের সভাপতি সানোয়ারুল হক সানী প্রমুখ।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্র করে যেন কোনো অপশক্তি সুযোগ না নিতে পারে। কোনো ধরনের দুর্নীতির ঘটনা যেন না ঘটে। সমাজের মধ্যে নৈতিকতার অবক্ষয় ঘটেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পারিবারিক সিদ্ধান্তের কারণে অনেকে অসৎ উপায় অবলম্বন করে। অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানাব আপনারা আপনাদের সন্তানদের মেধার ওপর নির্ভর করুন। আপনার সন্তান যদি মেধাবী হয়ে থাকে তাহলে সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গর্বিত অংশীদার হতে পারবে।
ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ছাত্রলীগের কেউ যদি প্রশ্নফাঁস কিংবা ভর্তি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে আমরা তা অস্বীকার করব না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জালিয়াতির বিরুদ্ধে আমরা ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি মেনে চলব।
আগামীকাল শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের পরীক্ষা উপলক্ষে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ২০-৩০টি বুথের মাধ্যমে ভর্তিচ্ছুদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবে। তাদের জন্য সুপেয় পানি এবং কেউ অসুস্থ হলে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানান তিনি।