ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের মাঠে পিএসজির ৩-১ গোলের হারটা হজম করতে কষ্ট হয়েছিল নেইমারের। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) পদ্ধতি জড়িয়ে বাজে কথা বলেছিলেন উয়েফাকে। বিষয়টা যে উয়েফার হজম হবে না সেটা জানাই ছিল। দেখার ছিল নেইমারের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয় ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটি।
না, নেইমারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি উয়েফা। তবে সংস্থাটি নিশ্চিত করেছে পিএসজির ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের বিপক্ষে তদন্ত শুরু করছে তারা।
নেইমারের বিরুদ্ধে ‘ম্যাচ অফিসিয়ালদের অপমান করা’র অভিযোগ আনা হয়েছে। উয়েফার কন্ট্রোল, এথিকস এন্ড ডিসিপ্লিনারী বডি’র শুনানির মুখোমুখি হতে পারে তাকে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম লেগে ম্যানইউ’র মাঠ থেকে ২-০ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছিল পিএসজি। কিন্তু ফিরতি লেগে নিজেদের মাঠে ৩-১ গোলে হেরে টানা তৃতীয়বারের মতো দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নিশ্চিত হয় দলটির। সেই ম্যাচে কিমপিম্বের হ্যান্ডবলের কারণে ভিএআরের সাহায্যে নিয়ে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। একেবারে শেষ মুহূর্তের সেই স্পটকিকে ম্যানইউকে জয়সূচক গোলটি এনে দেন মার্কাস রাশফোর্ড।
চোটের কারণে খেলার বাইরে থাকা নেইমার মাঠে বসেই দেখেছেন সেদিনের খেলা। হজম করতে পারেননি পেনাল্টির সিদ্ধান্তটি। ইনস্টাগ্রামে ধুয়ে দেন ভিএআর প্রযুক্তি ও রেফারিদের, ‘এটা রীতিমত অপমান। এ মোটেও পেনাল্টি ছিল না। উল্টো দিকে ঘুরে থাকা কিমপিম্বে কীভাবে তার হাত সরিয়ে নেবে বলুন? সবাই মরুগকে! ’
অভিযোগ প্রমাণিত হলে বড় রকমের জরিমানা গুনতে হবে নেইমারকে। হতে পারেন এক থেকে তিন ম্যাচ নিষিদ্ধও। তার কর্কশ মেজাজ হয়তো ম্যাচের ফল পরিবর্তন করবে না, তবে আইন ভেঙে পার পেয়ে যাবেন এমনটাও ঘটছে না।