রামুতে ৪ মৃত ব্যক্তিসহ এলাকার অর্ধ শতাধিক লোকজনকে জড়িয়ে হয়রানিমূলক মামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মৃত ব্যক্তিদের নামে মামলা করার ঘটনায় এলাকায় আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলাটি করেন, রামুর রাজারকুলে অবস্থিত কক্সবাজার হ্যাচারি অ্যান্ড ফিশারিজ প্রাঃ লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শফিউল হক চৌধুরী।
মামলায় অভিযুক্ত মৃত ৪ ব্যক্তির মৃত্যুসনদ মতে, সৈয়দ আহমদ ২০০৯ সালে, আবু তাহের ২০১৩ সালে, আবদুল খাঁ ২০১৪ সালে এবং হাজ্বী নুর আহমদ ২০০৮ সালে মারা যান। এ মামলায় ওই চারমৃতসহ ৪১ জন এবং অজ্ঞাত ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে বাদীর হ্যাচারিতে লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্তরা সবাই ওই হ্যাচারির জমির মালিক বলে জানা গেছে।
মামলায় অভিযুক্ত এনামুল হক জানিয়েছেন, মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে ৪ জন ২০১৪ সালের আগেই মারা গেছেন। বোঝা যায় যে মামলাটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক ও সাজানো। তাছাড়া এ মামলায় অনেক বয়োবৃদ্ধকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মামলায় অভিযুক্ত ওই হ্যাচারির জমির অপর দুই মালিক মতিউর রহমান ও প্রদীপ বড়ুয়া জানান, ২০০৩ সালে তাদের মতো স্থানীয় বিভিন্ন ব্যক্তিদের জমি ভাড়া নিয়ে হ্যাচারী ব্যবসা শুরু করেন, মোহাম্মদ শফিউল হক চৌধুরী। কিন্তু কয়েকবছর যেতে না যেতেই হ্যাচারিটি বন্ধ হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় হ্যাচারির বিভিন্ন মালামাল ও পুকুরসমূহ সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিলো। সেই সাথে জমির মালিকরাও দীর্ঘদিনের বকেয়া ভাড়া না পেয়ে জমি বুঝিয়ে নিতে উদগ্রীব হয়ে পড়েন। জমি ফিরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া চালালে মোহাম্মদ শফিউল হক চৌধুরী গত ১০ মার্চ সাজানো এ মামলা (নং সিআর ৬২/১৬) করেন। বিজ্ঞ আদালত এ মামলার বিস্তারিত তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কক্সবাজারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য মামলার বাদি মোহাম্মদ শফিউল হক চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে পাওয়া যায়নি।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কক্সবাজার এর উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুস সাত্তার সরকার জানিয়েছেন, মামলাটির তদন্ত চলছে। মামলায় মৃত ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত এসব মৃত ব্যক্তিদের মৃত্যু সনদ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় সকল তদন্ত সম্পন্ন করে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন দেয়া হবে। মামলার স্বার্থে এর বেশি কিছু বলতে তিনি অপরাগতা জানান।