দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৬২৪তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সাতজন মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৯৫৩ জন। আর শনাক্তের হার ১ দশমিক ১৬ শতাংশ।
এই ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৯৯ জন। গত ২০ নভেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো করোনায় মৃত্যুহীন দিন দেখে বাংলাদেশ। এরআগে গত ৫ আগস্ট দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন রোগী মারা যায়। গত ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ১৭ হাজার ১৩৫টি পরীক্ষায় ১৯৯ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার এক দশমিক ১৬ শতাংশ। তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৭৭ লাখ) ৮২৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৩০ লাখ ২২ হাজার ৯৭৩টি নমুনা। অর্থাৎ মোট পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি সাত লাখ ২৩ হাজার ৭৯৭টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৭৪ হাজার ৮৮ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ১৯২ জনসহ মোট ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ১৯৮ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭২ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে সাতজন মারা গেছেন তাদের মধ্যে ছয়জন পুরুষ ও একজন নারী। তাদের মধ্যে সবার হাসপাতালে (সরকারিতে ছয়জন, বেসরকারিতে একজন) মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ২৭ হাজার ৯৪৬ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৮ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন ২৩ হাজার ৭৬২ জন, যার শতকরা হার ৮৫ দশমিক ০৩ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন তিন হাজার ৩৭৩ জন, যার শতকরা হার ১২ দশমিক ০৭ শতাংশ। বাসায় ৭৭৭ জন মারা গিয়েছেন, যার শতকরা হার দুই দশমিক ৭৮। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন ৩৪ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৮৯৩ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৪ দশমিক এক শতাংশ এবং ১০ হাজার ৬০ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত সাতজনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব একজন, ষাটোর্ধ্ব দু’জন, সত্তোরঊর্ধ্ব একজন ও আশিঊর্ধ্ব একজন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে পাঁচজন, চট্টগ্রাম বিভাগে একজন ও খুলনা বিভাগে একজন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২২২টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ২৫ কোটি ৭৫ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৫১ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২৩ কোটি ২৫ লাখের বেশি।