চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মৃত্যুর পরও নাতিকে নিয়ে বাজি জিতলেন সিবলির দাদা

কেপটাউন টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন ডম সিবলি। ক্যারিয়ারে মাত্র তৃতীয় টেস্টে অভিষেক সেঞ্চুরি পাওয়া নাতির কীর্তি বেঁচে থাকলে বেশ গর্ব নিয়েই উপভোগ করতেন দাদা কেনেথ ম্যাকেঞ্জি। সেটা সম্ভব হয়নি, কারণ ২০১১ সালে মৃত্যু নিয়ে গেছে তাকে। জীবিতকালে নাতির প্রতিভায় কখনই সংশয় ছিল না তার, তাইতো এমন এক কাজ করে গেছেন যাতে সেঞ্চুরির সঙ্গে এখন পরিবারকে এক বিশাল অঙ্কের অর্থও এনে দিতে পেরেছেন সিবলি।

নয় বছর বয়স থেকে ক্রিকেট খেলেন সিবলি। ওই বয়সেই নাতির প্রতিভা দেখে দাদা কেনেথ ম্যাকেঞ্জি বুঝতে পেরেছিলেন ছেলেটি একদিন খেলবে জাতীয় দল ইংল্যান্ডের হয়ে। মৃত্যুর মাত্র চার মাস আগে সারের উইলিয়াম হিল বাজিঘরে গিয়ে দুটি বাজি ধরেছিলেন তিনি, যে একদিন সিবলিকে দেখা যাবে ইংল্যান্ড দলে। ১৬ বছর বয়সী সিবলির বিপরীতে বাজির দর ছিল ১৫০-১ ও ৬৬-১।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

কেনেথ কত বাজি ধরে গেছেন সেটা অজানাই ছিল সিবলির পরিবারের কাছে। শুধুমাত্র কৌতূহলের বশে বাজির স্লিপ নিয়ে উইলিয়াম হিল বাজিঘরে গিয়ে টাকার অর্থটা শুনে বেশ চমকে গেছেন সিবলির মা ক্রিস্টিন। দুই বাজিতে ২১ হাজার পাউন্ড জিতেছে সিবলির পরিবার। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ সাড়ে ২৩ লাখের কাছাকাছি।

বাজির কাগজ দেখে চমকে গেলেও সমস্ত অর্থ পরিশোধে রাজী হয়েছে উইলিয়াম হিল, এমনই জানিয়েছেন সিবলির মা ক্রিস্টিন। পাশাপাশি নাতির সেঞ্চুরি দাদা দেখে যেতে না পারায় আফসোসই করেছেন ৫৭ বছর বয়সী ভদ্রমহিলা, ‘তিনি বেঁচে থাকলে ডমের কীর্তি দেখে দারুণ গর্বিত হতেন। ডমের খেলা দেখাটা ছিল আনন্দের সঙ্গে দুঃখেরও। তিনি যে বাজি জিতেছেন সেটা জানলে আরও বেশি খুশি হতেন কেনেথ।’