মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক। দুর্ঘটনায় গত তিন বছরে মারা গেছেন ৪ শতাধিক মানুষ। দুর্ঘটনা নিরসনে ‘ব্ল্যাক স্পট’ চিহিৃত করাসহ নানান উদ্যোগেও কোন সমাধান হয়নি।
দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরবঙ্গের ২০ জেলার কয়েক লাখ মানুষের চলাচলের অন্যতম মাধ্যম ঢাকা আরিচা মহাসড়ক। যোগাযোগের খুবই গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হওয়ার পরেও সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি ও অবহেলার কারণে এ মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের গবেষণা অনুযায়ী ২০১৪ সালে এই মহাসড়কে দুর্ঘটনায় মারা যান ১১৫ জন। এর বিপরীতে মামলা হয়েছে ১১৮টি। ২০১৫ তে নিহত হন ১২৪ জন। মামলা হয়েছে ১২৫টি। ২০১৬ তে নিহত হন ১২১জন মামলা হয়েছে ৮১টি। আর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন।
সড়ক র্দুঘটনায় আহত হয়ে সাভারের সিআরপিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বছরের পর বছর ধরে পড়ে আছেন অনেকেই। ৭৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা আরিচা মহাসড়ক পার হতে ঢাকা ও মানিকগঞ্জ দুইটি জেলার মোট ৭টি থানার অধীনে অর্ন্তভুক্ত। আছে তিনটি হাইওয়ে থানাও। সমস্যা সমাধনে কাজ করার কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
২০১১ সালে সাংবাদিক মিশুক মুনির ও চিত্র পরিচালক তারেক মাসুদের মৃত্যুর পর কিছুটা সচেতনতা বাড়লেও এখন আবারো আগের অবস্থা তৈরি হয়েছে। দক্ষ জনবল বৃদ্ধি ও আইনের কার্যকর ব্যবহার না হলে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ অসম্ভব বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা।