যুবরাজের বলে বিশাল এক ছক্কা মেরেই দলকে জয় এনে দিলেন দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের সাঞ্জু স্যামসন। ডি কক-স্যামসন-রিশাভ পান্তের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ১১ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের বড় জয় পায় দিল্লি।
হায়দরাবাদের মুস্তাফিজই আজ সবচেয়ে খরুচে বোলার। চার ওভার করে ৩৯ রান দিয়েছেন এই কাটার মাস্টার।
বিধ্বংসী দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিংয়ের সূচনাটা করেছিলেন দিল্লির পক্ষে উদ্বোধন করতে নামা কুইন্টন ডি কক। ৫ চার ও ২ ছয়ে ৩১ বলে ৪৪ রানের দর্শনীয় এক ইনিংস খেলেন তিনি। এর পরে চতূর্থ উইকেট জুটিতে স্যামসন-পান্তের ৫০ বলে ৭২ রানের ঝড়ো জুটি দলকে সহজ জয় এনে দেয়।
হায়দরাবাদের পক্ষে উইকেটশূণ্য মুস্তাফিজের বিবর্ণ পারফর্ম্যান্সের দিনে দুইটি উইকেট পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট মিডিয়াম বোলার ময়িসেস হেনরিক্স এবং একটি গেছে আশিস নেহরার দখলে।
হায়দারবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা হায়দরাবাদ ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান সংগ্রহ করে। প্রথম তিন ব্যাটসম্যানের মধ্যে ডেভিড ওয়ার্নার ৩০ বলে ৪৬, শিখর ধাওয়ান ৩৭ বলে ৩৪, কেন উইলিয়ামসন ২৪ বলে ২৭ রান করেন। এরপরের ১০ রানের একটি ইনিংস বাদে সবাই আউট হন এক অঙ্কেই। আর তাই উদ্বোধনী জুটিতে অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ধাওয়ানকে নিয়ে ৬৭ রানের জুটি গড়লেও শেষ পর্যন্ত কম পুঁজিতেই সন্তুষ্ট হয়।
দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের পক্ষে দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন অজি ফাস্ট বোলার নাথান-কৌল্টার নিল এবং লেগ স্পিনার অমিত মিশ্রা। এছাড়াও একটি করে উইকেট লাভ করেন জয়ন্ত যাদব, মোহাম্মদ সামি ও প্রোটিয়াদের মিডিয়াম ফাস্ট বোলার ক্রিস মরিস।