ভাষা সংগ্রামী ও জাতীয় অধ্যাপক মুস্তফা নূরউল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত এই বিশিষ্ট সাহিত্যিকের মৃত্যুতে দেশ ও জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হলো। ভাষা আন্দোলন থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধ প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামের সঙ্গে তিনি সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকেন।
‘ষাটের দশকের আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, একষট্টি’র প্রবল প্রতিকূলতার মধ্যে রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকী উদযাপনসহ সব প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন মুস্তাফা নূরউল ইসলাম। বঙ্গবন্ধুর ডাকে ‘সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তান রুখিয়া দাঁড়াও’ আন্দোলনেও তিনি অনন্য অবদান রাখেছিলেন।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৭১ সালে লন্ডনে পিএইচডি গবেষণারত অবস্থায় মহান মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে জনমত গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
বুধবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিজ বাসায় বার্ধক্যজনিত কারণে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন খ্যাতিমান এ সাহিত্যিক ও জাতীয় অধ্যাপক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
তার মৃতদেহ রাজধানীর অ্যাপলো হসপিটালে রাখা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তার সন্তানরা দেশে আসলে তাকে দাফন করা হবে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
কর্মজীবনে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। তার জন্ম ১৯২৭ সালে। তিনি পড়াশুনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সাহিত্য ও শিল্পকলায় অসাধারণ অবদানের জন্য ২০১০ সালে “স্বাধীনতা পুরস্কার” পেয়েছেন, এছাড়া তিনি একুশে পদকও লাভ করেন।