নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে কার্যক্রম শুরু করেছেন সেই স্টাইলে চলতে চায় ইউরোপও। একটি জরিপ বলছে, ইউরোপের অন্তত আটটি দেশের নাগরিকরা ট্রাম্প স্টাইলের পক্ষে। এসব দেশের অভিবাসী বিরোধী নাগরিকরা বলছেন, প্রধানত মুসলিম দেশ থেকে অভিবাসন বন্ধ করতে হবে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ক্যাথাম হাউজ থিঙ্কট্যাঙ্ক’ ১০টি দেশের ১০ হাজার মানুষের উপর চালানো জরিপের ফলাফলে বলেছে, এর মধ্যে অন্তত আটটি দেশের নাগরিকরা মুসলিম দেশ থেকে অভিবাসী বন্ধের পক্ষে।
জরিপের প্রশ্ন ছিল-‘প্রধানত মুসলিম দেশ থেকে সকল অভিবাসন কি বন্ধ করা উচিত? জবাবে আটটি দেশেই বন্ধের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে।
সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া দেশগুলোর মধ্যে পোল্যান্ডে ৭১, অস্ট্রিয়া ৬৫, জার্মানিতে ৫৩ ও ইটালিতে ৫১ শতাংশ অভিবাসী বন্ধের পক্ষে রায় দেয়। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে হাঙ্গেরি, ফ্রান্স এবং বেলজিয়ামেও। আর ব্রিটেনে ৪৭ ও স্পেনে ৪১ শতাংশ পক্ষে ভােট পড়ে।
অভিবাসী গ্রহণের পক্ষে কোনো দেশেই ৩২ শতাংশের কম রায় আসেনি। তবে মোটামুটি একটা অংশ পক্ষে বা বিপক্ষে কোনো রায়ই দেয়নি। এসব দেশের বয়স্ক, গ্রামীণ ও কম শিক্ষিতরা অভিবাসন বিরোধীদের পক্ষে বেশি রায় দিয়েছে।
গত ২৭ জানুয়ারি এক নির্বাহী আদেশ জারি করে ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া এবং ইয়েমেনের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই ‘ব্যান অন মুসলিম’ শিরোনামে জরিপ চালায় ‘ক্যাথাম হাউজ থিঙ্কট্যাঙ্ক’।
এ তথ্যে প্রকাশের পর ইউরোপ মহাদেশজুড়ে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবেন মূলধারার সেই সব রাজনীতিবিদরা, যারা পুরো মহাদেশে ডানপন্থী রাজনীতিকদের দিক থেকে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন এবং এই তথ্য তাদের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
জরিপ কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন গবেষক বলেছেন, এসব ফলাফল, প্রধানত মুসলিম রাষ্ট্রগুলো থেকে অভিবাসনের উপর নিষেধাজ্ঞার পাবলিক উদ্বেগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যাপক মাত্রা নির্দেশ করে।
মূলধারার অনেক রাজনীতিবিদই ট্রাম্পের সফরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন, কিন্তু তারা কিভাবে এই ব্যাপক পাবলিক উদ্বেগ মোকাবেলা করবেন সেটা দেখার বিষয়।