নিউজিল্যন্ডের বিপক্ষে স্বল্প পুঁজি গড়েও সমান তালে লড়াই করেছে বাংলাদেশ। ফিল্ডিংয়ে কয়েকটি ভুল পরে আফসোস বাড়িয়েছে। উইলিয়ামসনকে রানআউট করার সহজ সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। মুশফিকের হাস্যকর ভুলে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত টেলরকে নিয়ে ১০৫ রানের জুটি গড়ে পার্থক্য গড়ে দেয়ার ভূমিকা রেখেছেন উইলিয়ামসন।
রানআউটের সুযোগ হাতছাড়া করায় বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছেন মুশফিক। তবে দুঃসময়ে দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়কে আগলেই রাখছেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকের রানআউট মিস নিয়ে কথা বলতে হয় অধিনায়ককে। বলেন, মুশির পেছনে লাগার কিছু নেই।
‘আমি মনে করি না মুশির পেছনে লাগার কোনো কারণ রয়েছে। এটি যেকারো ক্ষেত্রেই হতে পারে। কিন্তু সে চেষ্টা করেছিল। থ্রুো-টি ছিল সরাসরি (স্টাম্প বরাবর)। কিন্তু একজন কিপার হিসেবে এটি বোঝা কষ্টকর যে থ্রো সরাসরি আসছে নাকি আসেনি। সে আগ বাড়িয়ে বল ধরতে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু হঠাৎ কনুইয়ে লেগে বেলস পড়ে যায়। খেলায় এধরনের ভুল হয়েই থাকে। আমি মনে করি না আমাদের তার পেছনে লাগার কারণ রয়েছে।’
বুধবার দ্রুত একটি রান নিতে দৌড় দেন উইলিয়ামসন। মিডঅন থেকে দারুণ এক থ্রেুা করেন তামিম ইকবাল। বল সরাসরি স্টাম্পেই লাগতে যাচ্ছিল। কিন্তু মুশফিক আগ বাড়িয়ে বল ধরতে গিয়ে বেলস ফেলে দেন কনুইয়ের ধাক্কায়। নিশ্চিত রানআউট থেকে বেঁচে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক উইলিয়ামসন ম্যাচই পকেটে পুরে নেন।
তখন ২ উইকেটে ৬০ রান করা নিউজিল্যান্ড বেশ চাপের মুখে ছিল। সেই সময় উইলিয়ামসন আউট হয়ে গেলে ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতে পারতো। এরপর রস টেলরকে নিয়ে সেই ১০৫ রানের জুটি। কার্যত বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকেই ছিটকে দেন উইলিয়ামসন। শেষদিকে মুশফিক দারুণ দুটি ক্যাচ নিয়েছেন। ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। বোলারদের দুর্দান্ত নৈপূণ্য অবশ্য জয় থেকে হাতছোঁয়া দূরত্ব পর্যন্ত লড়াই করে বাংলাদেশ।