সকালের সূর্য মিলিয়ে গেল দুপুর গড়াতেই। মেঘলা আকাশের নিচে ফ্লাড লাইটের আলোয় ব্যাট হাতে ছুটলেন মুশফিকুর রহিম। তুলে নিলেন টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। মুশফিকের ব্যাটের জোয়ারে ভেসে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে ৬ উইকেটে ৫৬০ রান তুলে।
সোমবার ২৯৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা জিম্বাবুয়ে তৃতীয় দিন শেষে ২ উইকেট হারিয়ে করেছে ৯ রান। অফস্পিনার নাঈম হাসান জোড়া আঘাত হানেন ইনিংসের প্রথম ওভারেই।
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের একমাত্র টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হার বাঁচাতে জিম্বাবুয়েকে করতে হবে আরও ২৮৬ রান, হাতে ৮ উইকেট। কেভিন কাসুজা ৮ ও ব্রেন্ডন টেলর ১ রানে অপরাজিত থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছেন।
টেস্ট ক্যারিয়ারে মুশফিকের সাত সেঞ্চুরির তিনটিই ডাবল। তার সবশেষ ডাবল সেঞ্চুরিটিও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে মিরপুরে তিনি অপরাজিত থাকেন ২১৯ রানে। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ৭ উইকেট ৫২২ রান তুলে।
সেটিই ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। আগেরটি ছাড়িয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক মুমিনুল হকের সেঞ্চুরি (১৩২), নাজমুল হোসেন শান্ত (৭১) ও লিটন দাসের (৫৩) ফিফটিতে বাংলাদেশ পেরোয় সাড়ে পাঁচশ।
জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৬৫ রানে। দ্বিতীয় দিন শেষ বাংলাদেশ ৩ উইকেট হারিয়ে তোলে ২৪০ রান। তৃতীয় দিনে ৩ উইকেট খরচায় যোগ করে আরও ৩২০ রান।
বড় সংগ্রহ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ অবদান মুমিনুল-মুশফিকের চতুর্থ উইকেট জুটির ২২২ রান। ১৭২ থেকে তারা বাংলাদেশকে নিয়ে যান চারশর কাছে (৩৯৪)।
মুশফিকের সঙ্গে মুমিনুলও জাগিয়েছিলেন ডাবলের আশা। সোজা ব্যাটে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন বাঁহাতি স্পিনার এনডিলোভুর হাতে। ২৩৪ বলে ১৪ চারে ১৩২ রান করেন মুমিনুল। ভাঙে দুইশ পেরোনো জুটি।
বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মিঠুন। ২৩ বলে তিন চারে ১৭ রান করে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি।
ফিফটির পর বেশিদূর যেতে পারেননি মুশফিকের সঙ্গে শতরানের জুটি গড়া লিটন। সিকান্দার রাজার বলে ধরা পড়েন রেগিস চাকাভার গ্লাভসে। ৯৫ বলে পাঁচ চারে ৫৩ রান করে ফিরে যান লিটন। ভাঙে ১১১ রানের জুটি।