মুম্বাইয়ের বিলাসবহুল হোটেলগুলো এখন করোনাভাইরাসে মৃদু সংক্রমণের শিকার রোগীদের চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত হবে। সেখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গুরুতর রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। তাই হাসপাতালগুলোতে গুরুতর রোগীদের সেবা দিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে শহরের প্রশাসন। বৃহস্পতিবার থেকেই দুটি হোটেলে বেসরকারি হাসপাতালের কাজ শুরু হবে।
যাদের অবস্থা ততটা গুরুতর না তেমন আরো বেশি বেশি রোগীকে জায়গা দেয়ার জন্য শহরের চারতারা ও পাঁচতারা হোটেলগুলোকে কাজে লাগাবে বেসরকারি হাসপাতালগুলো। তবে এসব জায়গায় রোগীদের পাঠাতে ডাক্তারের অনুমোদন লাগবে।
হোটেলগুলোতে নূন্যতম মেডিক্যাল সরঞ্জামাদি থাকতে হবে করোনা রোগীদের জন্য। এসবই বড় বড় বেসরকারি হাসপাতালের বর্ধিতাংশ হিসেবে কাজ করবে বলে জানিয়েছে ব্রিহানমুম্বাই মিউনিসিপাল করপোরেশন(বিএমসি)। হোটেলগুলোতে অন্তত ২০টি ঘর থাকতে হবে করোনা রোগীদের জন্য। সেই সাথে ২৪ ঘণ্টাই থাকতে হবে ডাক্তার, পরামর্শক, নার্স, ওষুধপত্র এবং অ্যাম্বুলেন্স সেবা।
এসব হাসপাতালে সেবার জন্য ৪০০০ রুপী সর্বোচ্চ চার্জ করা যাবে আর রোগীর সঙ্গে কেউ থাকতে চাইলে দিতে হবে সর্বোচ্চ ৬০০০ রুপী।
বিএমসি বলেছে, বেসরকারি হাসপাতাল ও সংযুক্ত হোটেলগুলোর মধ্যে যথাযথ বোঝাপড়া ও নির্বিঘ্ন সমন্বয় থাকতে হবে। যাদের হাসপাতালের বেড দরকার তাদের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউতে প্রবলভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে মুম্বাইতে। সেখানকার পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্ট বলেছে, দেখা যাচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালের অনেক বেডে এমন কিছু রোগী আছে যাদের জরুরি চিকিৎসাসেবা দরকার নেই। তাদেরকে যথাযথভাবে ও পযাপ্তভাবেই এসব হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা যাবে।
করোনা সংক্রমণের ভয়াবহ পরিস্থিতি সামলাতে কিছু বেসরকারি হাসপাতালকে গুরুতর রোগীদের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল ঘোষণার সিদ্ধান্তও নিয়েছে মুম্বাই প্রশাসন।