ম্যাচটার নাম প্রস্তুতি-ম্যাচ। তাতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ভালোই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। যদিও ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউই। ইমরুল-সৌম্য ভালো শুরু করে থেমেছে। মুমিনুল ও মুশফিক সাজঘরে ফিফটি পেরিয়ে। এরপরই ছোটখাট ব্যাটিং ধসে পড়েছে সফরকারীরা।
বেনোনিতে সাউথ আফ্রিকার আমন্ত্রিত একাদশের বিপক্ষে মধ্যাহ্নবিরতি পর্যন্ত ২৩.৪ ওভারে ২ উইকেটে ৯২ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। চা বিরতির আগেই সেটি দুইশর কোটা পেরিয়ে গেছে। তবে উইকেট হারাতে হয়েছে আরও ৪টি।
ইনিংসের শুরুতে দুশ্চিন্তা বয়ে এনেছে তামিম ইকবালের রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফেরা। উদ্বোধনীতে নেমে ব্যক্তিগত ৫ রানের মাথায় চোট পেয়ে সাজঘরে হাঁটা দেন বাঁহাতি টাইগার তারকা। ৪.২ ওভারের সময় দলীয় সংগ্রহ তখন ১১! মাংসপেশিতে চোট পেয়েছেন তামিম। দলীয় সূত্র জানাচ্ছে তেমন গুরুতর নয় সেটি। স্ক্যান করানোর পর বাকিটা নিশ্চিত হওয়া যাবে।
তামিম দুশ্চিন্তার দিনে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার কাজটা ভালোই করছিলেন ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার। ব্যাটে রানের আভাস মিলেছে রান খরায় ভুগতে থাকা দুজনের। ৭৩ রানের জুটি গড়ে বিচ্ছিন্ন হয়েছেন। আগে ফিরেছেন ইমরুলই। লেগস্পিনার শন ভন বের্গের বলে ডিকগলের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। অনেকটা আক্রমণাত্মক ঢংয়ে খেলে ৪ চারে ৫১ বলে ৩৪ রান বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের নামের পাশে।
সৌম্য ফিরেছেন জুটিসঙ্গীর বিদায়ের তিন ওভার পরই। বাউন্সি কন্ডিশনে ভালো খেলেন। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে রানখরার পরও তার ওপর থেকে আস্থা হারায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। নিয়ে গেছে সাউথ আফ্রিকায়। সেটার প্রতিদানের আভাসই দিচ্ছিলেন সৌম্য। ভালো শুরু করে ফিফটির আগেই ফিরেছেন বাঁহাতি উদ্বোধনী।
মিডিয়াম পেসার মিগায়েল প্রিটোরিয়াসের বলে উইকেটরক্ষক ক্ল্যাসেনের গ্লাভসে ধরা পড়েছেন সৌম্য। ৮ চারে ৬৯ বলে ৪৩ রানের ইনিংস তার। সেটির চেয়েও বড় ব্যাপার, ক্রিজে কাটিয়েছেন প্রায় দুই ঘণ্টা।
পরে মুমিনুল হকের সঙ্গে যোগ দেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। দুজনের জমে ওঠা জুটিটা ভাঙে ১১৯ রানে পৌঁছে। ওয়ানডে ঢংয়ে ৯ চারে ৭৩ বলে ৬৮ রানের ইনিংস সাজিয়েছেন মুমিনুল। মিডিয়াম পেসার অ্যালেক্স কোহেনের বলে ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে।
এরপরই ছোটখাট ব্যাটিং-ধস! হতাশ করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টেস্ট ক্যারিয়ার সচল করার সুযোগ পেয়ে প্রস্তুতিটা নিতে পারেননি। অ্যালেক্স কোহেনের বলেই ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই।
মুশফিক দ্রুতই তাকে অনুসরণ করেছেন ৬৩ রানে। ৮ চারে ৮৫ বলের ইনিংসটি থেমেছে কোহেনের বলে ক্যাচ দিয়েই। কোহেন পরে ফিরিয়েছেন রানের খাতা খুলতে না পারা লিটস দাসকেও।