তার ব্যাটিং দেখা ক্রিকেট মাঠের উপজীব্য-উপভোগ্য সৌন্দর্যগুলোর একটি। সেই মুমিনুল হক যখন দেড়শ ছাড়ানো ইনিংস খেলেন, সেটি চর্মচক্ষুতে দেখার সুযোগ কজনই বা হারাতে চাইবেন! মুশফিক-আশরাফুলরাও চাইলেন না। তাইতো বিকেএসপিতে যখন চলছে মুমিনুল ঝড়, তখন বাউন্ডারি সীমানার বাইরে হাততালিতে ফেটে পড়লেন আশরাফুল-মুশফিকরা।
বিকেএসপিতে পাশাপাশি দুটি মাঠে খেলা হচ্ছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দুটি ম্যাচ। আগের রাতে ঝোড়ো বৃষ্টির পর মাঠ ভেজা ছিল। তিন নম্বর মাঠে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ও প্রাইম দোলেশ্বরের খেলাটি ঠিকঠাক শুরু হলেও চার নম্বর মাঠে সেটি সম্ভব হল না। কলাবাগান ক্রীড়া চক্র ও লিজেন্ড অব রূপগঞ্জের খেলাটি শুরু হতে দেরি হয়েছে।
কলাবাগান-রূপগঞ্জের ক্রিকেটারদের তখন অলস সময় কাটছে। এর মাঝেই খবর, পাশের মাঠে ব্যাটে ঝড় তুলেছেন মুমিনুল। দ্রুত মাঠের সীমানার বাইরে জুটে গেল কিছু তারকা দর্শক। কলাবাগানের মেহরাব জুনিয়র, আশরাফুল, তুষার ইমরানরা হাজির; সঙ্গী রূপগঞ্জের নাঈম ইসলাম, মুশফিকুর রহিম, মোশাররফ, শরীফরা।
পরে মুমিনুল যতক্ষণ ব্যাট করলেন, সীমানার বাইরে থেকে হাততালি আর চিৎকারে উৎসাহ যুগিয়ে গেলেন এই তরকা ক্রিকেটাররা।
মুমিনুলও তাদের হতাশ করেননি। দুই বছরের বেশি সময় ধরে টাইগারদের ওয়ানডে দলে উপেক্ষিত বাঁহাতি খেলেছেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। দ্বিতীয় ওভারেই ক্রিজে এসে রানে থাকা নাসির হোসেনের সঙ্গে ১৫৩ রানের জুটিতে গড়েছেন। খেলেছেন ১২০ বলে ১৫২ রানের ইনিংস। সেটি গড়েছে ১৬টি চার ও ৬টি ছক্কায়। ২৪.১ ওভার স্থায়ী জুটিতে নাসিরের অবদান ৭৬ বলে ৬৪ রান।
ফিফটি এসেছে ৫৪ বলে, মুমিনুল লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে নিজের তৃতীয় শতকে পা দেন ৮৯ বলে, পরে তৃতীয় অর্ধশতক তুলে নেন মাত্র ২৮ বলে। নাসিরের পর পারভেজ রসুলের সঙ্গে ১২.৪ ওভারে ১০১ রানের জুটি গড়েছেন মুমিনুল। গাজীর সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩০৭ রান।