রাসেল মাহমুদ: মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার অধিকাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনেরই বেহাল দশা। ৮৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৭টি বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। ভবন ধসের আশঙ্কা থাকলেও ঝুঁকি নিয়ে চলছে ক্লাস কার্যক্রম।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ১৫ থেকে ২০ বছর আগে নির্মিত হলেও দেখে মনে হয় যেন শত বছরের পুরনো। কোনটির দেয়াল, বীম বা কলামে ফাটল ধরেছে, কোনটির ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তার আবার কোনটির মেঝে দেবে গেছে। জরাজীর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে ক্লাস।
বড়ইকান্দি ভাটেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি কক্ষের মেঝে দেবে যায় কয়েকদিন আগে। আতংকিত শিক্ষার্থীরা হুড়োহুড়ি করে বিদ্যালয় কক্ষ ত্যাগ করলেও দু’একদিন পর আবার সেই ভবনেই ক্লাস শুরু হয়।
৭নং বালুয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদ থেকে খসে পড়েছে পলেস্তার। ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষ বাদ রেখে আপাতত ভবনটির বারান্দায় ক্লাস কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। কিন্তু এই জায়গাটিও ঝুঁকিমুক্ত নয়।
এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন গজারিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাও। প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাহেলা বেগম বলেন: যে কয়টি স্কুলে গেছি আমার সবগুলোই মনে হয় যেনো জরাজীর্ণ।
আর তাই আশপাশের মসজিদ, মাদ্রাসায় স্কুল স্থানান্তর করার প্রস্তাব তার।
আরও দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: