মুজিববর্ষ উপলক্ষে বছরব্যাপী নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’ নামক সংগঠন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ কর্মসূচি ঘোষণা করে।
এসময় সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আসাকে কেন্দ্র করে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। বিভিন্ন গোষ্ঠী মুজিববর্ষের গৌরবময় ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান বানচালের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি এই ষড়যন্ত্র কখনই মেনে নেবে না।
এসময় সকল ষড়যন্ত্র শক্ত হাতে দমন করার ঘোষণা দেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। যদি কেউ নরেন্দ্র মোদির আগমনকে প্রতিহত করতে চায় তাহলে দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও শক্ত অবস্থানে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে তাদের বছরব্যাপী কর্মসূচিসমূহের মধ্যে রয়েছে: ১৭ মার্চ মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য স্বাগত মিছিল, আগামী ৯ মার্চ বিকাল ৩ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করবে মিছিলটি। পাশাপাশি সারাদেশে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সকল ইউনিটে আগামী ১০ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত স্বাগত মিছিল কর্মসূচি পালন করবে।
এছাড়াও ভারত-বাংলাদেশের ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্যপূর্ণ বন্ধুত্বের অতীতের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের স্থিরচিত্র ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনীর আয়োজন, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর আলোকচিত্র ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনি, বঙ্গবন্ধুর লেখা ৩য় বই আমার দেখা নয়া চীন এর উপর রচনা প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০০টি করে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে ১০০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সাথে নিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, ১০০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ১৭ জন বীরঙ্গনাকে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠান, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা সভা ও মুক্তিযুদ্ধের গান পরিবেশন,দেশব্যাপি দুর্নীতিবিরোধী পদযাত্রা ও ক্যাম্পেইন, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, পথশিশুদের মাঝে নতুন পোশাক ও খাবার বিতরণ ও জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী সমাবেশ ও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নাটক ইত্যাদি কর্মসূচি পালন করবে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।