মুখের দুর্গন্ধ কোনো কঠিন রোগ নয়। তবে এই রোগের কারণে অনেকেই দুশ্চিন্তায় ভুগে থাকেন। কেউ কেউ মুখের দুর্গন্ধের জন্য আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে নিজেকে হীন মনে করতে থাকে। প্রিয় মানুষটির সঙ্গেও মন খুলে কথা বলতে পারেন না অনেকেই। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে এ থেকে মুক্তি পাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
দুর্গন্ধ দুই রকমের হয়ে থাকে। স্বল্পস্থায়ী ও দীর্ঘস্থায়ী। স্বল্পস্থায়ী মুখের দুর্গন্ধ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। কিছু নিয়ম মেনে চললেই স্বল্পস্থায়ী মুখের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
স্বল্পস্থায়ী মুখের দুর্গন্ধ দূর করা: কোনো কিছু খাওয়ার পর অধিক পরিমাণে পানি পান করা। যাতে মুখের ভিতর কোনো খাবার না থেকে যায়। প্রতিদিন রাতে ও সকালে নিয়মিত ব্রাশ করা। তবে বাইরে থাকার সময় একটি কাজটি করলে খুব বেশি স্বস্তিতে থাকা যায়; তা হলো চিনিবিহীন মিন্ট চকলেট অথবা চুইঙ্গাম খাওয়া।
দীর্ঘস্থায়ী মুখের দুর্গন্ধ দূর করা: দীর্ঘস্থায়ী মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য প্রতিদির দিনে দুবার কমপক্ষে দুই মিনিটের জন্য ব্রাশ করা। তবে চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে ব্রাশ করা কিছু নিয়ম শিখে নেওয়া। ভালো টুথব্রাশ ব্যবহার করা। প্রতি তিন থেকে চার মাসের মধ্যে ব্রাশ পরিবর্তন করা। ব্রাশ করার মুখের প্রতিটি কোণায় বিশেষ করে দাঁতের মাড়িতে ভালোভাবে ব্রাশ করা।
যেসব খাবার মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে সেসব খাবার না খাওয়া যেমন, সিগারেট, মাছ, এলকোহল, রসুন, পেঁয়াজ, ইত্যাদি। দিনে কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করা। মুখকে শুকিয়ে দেয় এমন খাবার কম খাওয়া।
জোরে না কাশা। এতে জিহ্বার পেছনে থাকা টনসিল স্টোনের কিছু অংশ মুখের দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে থাকে। পেয়ারা জাতীয় শক্ত খাবার খাওয়া। এসব খাবার মুখের দর্গন্ধ কমাতে সাহায্য করে। অনন্ত দুই মাসের মাথায় মাথায় ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়া।