তীব্র ঘ্রাণ শক্তি গ্রহণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন সংবেদনশীল প্রাথমিক অঙ্গ হচ্ছে নাক। মুখের ঘ্রাণ বিশ্লেষণ করে রোগ নির্ণয় করতে তৈরি করা হয়েছে এক কৃত্রিম নাক। কৃত্রিম এই নাক তৈরি করেছে ইসরাইল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষক অধ্যাপক হোসাম হিক।
এই কৃত্রিম নাকের সাহায্যে মানুষের নি:শ্বাসের ঘ্রাণ নিয়ে ১৭ ধরনের রোগ নির্ণয় করা যাবে। প্রযুক্তির সাহায্যে শ্বাসের উপর ভিত্তি করে ক্যান্সারসহ অন্যান্য রোগ নির্ণয় করতে ৮৬ শতাংশ সঠিক ফলাফল দিতে সক্ষম বলে দাবি করেন এই গবেষক।
তবে প্রত্যেক রোগ নির্ণয় করতে আলাদা আলাদা কেমিক্যাল ব্যবহার করতে হবে। ন্যানো-রে ব্যবহার করে মুখের শ্বাসকে বিশ্লেষণ করে ক্যান্সার, কিডনি, গ্যাস্ট্রিকসহ ১৭ ধরনের রোগ নির্ণয় করতে সক্ষম এই কৃত্রিম নাক।
গবেষক হোসাম হিক বলেন: ক্যান্সার এবং এমন আরও কয়েকটি রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে আরও বেশি সঠিক ফলাফল দিতে সক্ষম।
‘আমাদের প্রত্যকের নিজস্ব আঙ্গুলের ছাপ ভিন্ন ভিন্ন। ঠিক একইভাবে প্রত্যেকটি রোগের আলাদা কেমিক্যাল সাইন আছে যা আমাদের শ্বাস বিশ্লেষণের মাধ্যমে বের করা সম্ভব। নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের পেছনে এই যুক্তিকে কাজে এসেছে।’
‘ন্যানো প্রযুক্তিতে’ ব্যবহার করা হয়েছে একটি ফিল্টার চেম্বার, একটি ব্রেথিং টিউব ও একটি সফটওয়্যার। ইতিমধ্যে সাতটি কোম্পানি এই প্রযুক্তিকে ব্যবসায়িক ভাবে বাজারজাত করা জন্য লাইসেন্স দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও ‘স্নিফফোনস’ নামের আরেকটি অ্যাপলিকেশন তৈরি করা হয়েছে যার মাধ্যমে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে আমাদের দৈনন্দিন শারীরিক অবস্থা জানা যাবে।