দুর্নীতির দায়ে গত নভেম্বরে আটক হওয়া সৌদি প্রভাবশালীদের অনেকেই এখন মুক্তি পাচ্ছেন। মুক্তি পাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন এমবিসি টেলিভিশন নেটওয়ার্কের প্রধান ওয়ালিদ আল-ইব্রাহীম। রয়েছেন সৌদির রয়্যাল কোর্টের প্রধান খালিদ আল-তুয়াইজিরি।
খবর বলছে মুক্তি পেতে তারা অর্থনৈতিক চুক্তির পথেও যাচ্ছেন। যদিও সেই সেটেলমেন্টের পরিমাণটি জানানো হয়নি। গত বছরে চলা দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে অন্তত ২০০ প্রিন্স, রাজনীতিবিদ এবং সম্পদশালী ব্যবসায়ীদের আটক করা হয়। তখন থেকে তাদের রিয়াদে রিটজ কার্লটন হোটেলে রাখা হয়।
ধারণা করা হচ্ছে দুই পক্ষের মধ্যে সেটেলমেন্টের ব্যাপারটা নিশ্চয়ই খুব ব্যয়বহুল। প্রিন্স মিতেব বিন আবদুল্লাহ, যাকে নভেম্বরের শেষ দিকে মুক্ত করে দেওয়া হয়। সে অন্তত ১ বিলিয়ন ইউএস ডলার প্রদান করেছে।
কোনো কোনো খবরে এটাও এসেছে যে আল ইব্রাহিমের মুক্তির সঙ্গে এমবিসি টিভির নিয়ন্ত্রণ ভাগাভাগি করার বিষয়টিও উঠে এসেছে। এটা মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় মিডিয়া হাউজ।
দুর্নীতিবিরোধী এই অভিযান পরিচালনা শুরু করেছিলো প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। তার বিরুদ্ধে বিরোধীদের অপসারণ ও নিজের ক্ষমতা প্রয়োগের সুযোগ হিসেবে এই তদন্ত প্রক্রিয়াকে ব্যবহার করার কথাও বলেছে অনেকে।
এই অভিযানের পরে সৌদি আরবের অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, নিয়মতান্ত্রিক দুর্নীতিতে অন্তত ১০০ বিলিয়ন ইউএস ডলারের অপব্যবহার হয়েছে। আর সেটা দেশকে আরো কয়েক দশক পিছিয়ে দিয়েছে।
প্রভাবশালীদের আটক করা ছিলো সেই সব ফান্ড পুনরুদ্ধারের একটি প্রক্রিয়া। বাকি আটক থাকাদের আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আটক রাখা হবে। সেদিন রিটজ কার্লটন পুনরায় খুলে দেওয়া হবে। তারপর আটককৃতদের আইনী প্রক্রিয়া চালানোর জন্য কারাগারে পাঠানো হবে।
এই সময়ে আটক থাকা আরেক প্রভাবশালী প্রিন্স আলওয়ালিদ বিন তালাল রয়টার্সকে বলেন, আমার ঝামেলার সময় শিঘ্রই শেষ হবে।