গ্রেপ্তার হওয়ার ১০৭ দিন পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন প্রখ্যাত আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।
কারাগারের ডেপুটি জেলার জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি চ্যানেল আই অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় কারাগারে থাকা আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে জামিন দেন হাইকোর্ট। জামিনের কপি কারাগারে পৌঁছে দেন শহিদুলের আইনজীবী। অন্যদিকে এ রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
মঙ্গলবার তার মুক্তির আশায় বেলা সাড়ে ১১টা থেকে কারাগারের সামনে অপেক্ষা করতে থাকেন স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ, স্বজন ও তার আইনজীবীরা। কিন্তু দিনভর অপেক্ষার পরও মেলেনি শহিদুল আলমে মুক্তি। পরে রাতে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।
গত ১৫ নভেম্বর হাইকোর্ট তাকে জামিন দিলেও তাতে ঠিকানা জটিলতার কারণ গত চার দিন তার মুক্তি মিলেনি। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ছাড়া পান তিনি।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত ৪ আগস্ট ধানমন্ডি এলাকায় ফেসবুক লাইভ করেন শহিদুল আলম। এছাড়াও তিনি এই আন্দোলনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরাকে এক সাক্ষাৎকার দেন। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন।
পরদিন ৫ আগস্ট শহিদুল আলমকে তার বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। ৬ আগস্ট তার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করা হয়।
ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালতের মাধ্যমে পুলিশ তাকে রিমান্ডে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।