মাত্র ৩শ’ টাকা দিয়ে শুরু হলেও এখন ১০ হাজার টাকা থেকে ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসিক সম্মানী পান বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তারা যেন অর্থকষ্টে না ভোগেন, সামাজিকভাবে সম্মানজনক অবস্থায় থাকেন- সেজন্য ভাতাসহ বিভিন্ন সুবিধা নিশ্চিত করেছে রাষ্ট্র।
বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে স্বাধীন বাংলাদেশ এনেছেন। কোনো সুবিধার কথা বিবেচনা করে তারা যুদ্ধে যাননি, কোনো আর্থিক মূল্যে তাদের ত্যাগও মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়। তবে, তাদের প্রতি সম্মান জানাতে গেজেটভুক্ত ২ লাখ ৮৬ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে ৪ ক্যাটাগরিতে সম্মানী দিচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা বেঁচে থাকা পর্যন্ত এ ভাতা পাবেন। সন্তান ও নাতিরা চাকরিতে পাবেন কোটা সুবিধা।
আহত বা খেতাবপ্রাপ্ত নন এমন মুক্তিযোদ্ধারা এখন বছরে ভাতার সমপরিমাণ ২টি উৎসব ভাতাসহ প্রতিমাসে পান ১০ হাজার টাকা। বিভিন্ন খেতাবে ভূষিত, যুদ্ধাহত, নির্যাতিত নারী মুক্তিযোদ্ধারা মাসিক ভাতা পাচ্ছেন ১৫ হাজার থেকে ৪৫ টাকা হাজার পর্যন্ত।
যাদের দরকার তাদের জন্য আবাসান সুবিধা দেয়া হচ্ছে। চার শতক নিজের জমি থাকলে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে ৮ লাখ টাকা দিয়ে তৈরি করে দেয়া হচ্ছে বাড়ি। যাদের জমি নেই তাদের জন্য পরিকল্পনা আছে ফ্ল্যাট নির্মাণের।
প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ভাতা দেয়া হয় মুক্তিযোদ্ধাদের। ট্রেন, লঞ্চ, বিমানে রয়েছে ফ্রি যাতায়াত ব্যবস্থা। তাদের জন্য বিশেষ স্মার্ট কার্ডের উদ্যোগও নেয়া হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এসব কিছু করার মাধ্যমে নিজেই সম্মানিত হয় রাষ্ট্র।
দেখুন নিচের ভিডিও রিপোর্টটি: