চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় পৌর মেয়র কারাগারে

বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেনকে হত্যাচেষ্টার মামলায় কক্সবাজারের মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকছুদ মিয়াকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজারের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আলমগীর মোহাম্মদ ফারুকীর আদালত এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা।

সাধারণ আসামীদের পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হলেও ব্যতিক্রম ঘটেছে মকছুদ মিয়ার ক্ষেত্রে। আদালতের আদেশের পর দুপুর আড়াইটার দিকে মকছুদ মিয়াকে আদালত প্রাঙ্গন থেকে পুলিশ পাহারায় একটি ব্যক্তিগত গাড়িযোগে নিয়ে যাওয়া হয় কক্সবাজার কারাগারে। এসময় কয়েকজন সংবাদকর্মী ছবি তুলতে চাইলে তাদের বাধা দেয় মেয়র মকছুদ মিয়ার অনুগত লোকজন।

অভিযুক্ত মকছুদ মিয়া মহেশখালী পৌরসভার মেয়র এবং মহেশখালী পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক। মামলার বাদী আমজাদ হোসেন মহেশখালী পৌরসভার গোরকঘাটা এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মহেশখালী উপজেলা ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার ছিলেন।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা জানান, হত্যাচেষ্টা ও চিংড়ি ঘেরে ডাকাতির অভিযোগে মেয়র মকছুদ মিয়াকে প্রধান অভিযুক্ত আসামি করে দুইটি মামলা করেছেন মহেশখালীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন। ওই দুইটি মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে ৬ সপ্তাহ পর কক্সবাজার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন তিনি। এর মধ্যে চিংড়ি ঘের ডাকাতির মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বাদী পক্ষের অভিযোগ, গত ২৪ নভেম্বর রাতে মহেশখালী পৌরসভার গোরকঘাটা বাজার থেকে মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন বাড়ী ফেরার পথে লিডার শিপ স্কুল এন্ড কলেজের সামনে পৌঁছলে পৌর মেয়র মকছুদ মিয়ার নেতৃত্বে একদল লোক হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গত ২৬ নভেম্বর আহত আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে মেয়র মকছুদ মিয়াকে প্রধান আসামি করে ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।

গত ৮ ডিসেম্বর মেয়র মকছুদ মিয়াকে গ্রেফতার ও ন্যায় বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করে কক্সবাজারের মুক্তিযোদ্ধারা। এর আগে মেয়র মকছুদ মিয়া ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা করায় মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেনকে এলাকা ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছিল।