চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের আল্টিমেটামে বিরক্ত ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের নতুন সদস্য ও সদস্য পদ নবায়ন কার্যক্রম শুরু ঘোষণার সময় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দেয়া বক্তব্যের জেরে সৃষ্টি হওয়া বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন: আমার অবস্থান পরিষ্কার করার ব্যাপারে কোন ঘাটতি আছে বলে মনে হয় না। এ বিষয় নিয়ে আমি আর কথা বলতে চাই না। আর আপনারই (সাংবাদিক) বা কেন বারবার এ বিষয়ে প্রশ্ন করছেন।

শুক্রবার ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

কাদের বলেন: এ বিষয়টা নিয়ে আমি আর কথা বলতে চাই না। তিন চারদিন আমি এ বিষয়ে কথা বলেছি। কেন এ বিষয়ে কথা বলব? আমার অবস্থান পরিষ্কার করার ব্যাপারে কি কোন প্রকার ঘাটতি আছে?

তিনি আরও বলেন: একটা বিষয় একেকজন একেকভাবে নেয়। সেটা হলো ভিন্ন ব্যাপার।

নিজের অবস্থান আবারও পরিস্কার করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন: বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম যে চেতনা থেকে, সেই চেতনাই আমাদের চির বিজয়ের চেতনা। এখানে কোন কম্প্রমাইজ কিংবা দ্বিধা-দ্বন্দ্বের অবকাশ নেই। আমি প্রতিদিন কথা বলছি আবার এ বিষয় নিয়ে কেন কথা বলতে হবে…?

সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন: আপনারাই বা কেন এ বিষয়ে বারবার প্রশ্ন করবেন। আমি এ বিষয় নিয়ে আর কথা বলতে চাই না। আমার মনে হয়, আমি এ পর্যন্ত যা বলেছি এরপর আর কিছু বলার প্রয়োজন নাই। কারো কাছ থেকে নতুন করে কোন প্রশ্ন আসার তাগিদ আছে বলেও আমার মনে হয় না।

একটা সংবাদে তার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে দাবি করে কাদের বলেন: একটা নিউজ নিয়ে যাদের ভেতর দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল আমার বিশ্বাস তারা এখন স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন। কাজেই নতুন করে এ বিষয়ে আর বলার প্রয়োজন নেই।

অন্যদিকে বক্তব্য প্রত্যাহার করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামে একটি সংগঠন। তারা বলছে: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শুধু শারীরিক মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে নন চেতনার মৃত্যুর কাছাকাছি উপনীত হয়েছেন।

গত ৩০ জুন ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন: যুদ্ধাপরাধী ও জামাত পরিবারের সন্তানরাও আওয়ামী লীগে যোগ দিতে পারবে, আওয়ামী লীগের সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ভূমিকা প্রাধান্য পাবে, কোন পরিবারের সন্তান সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়, হোক সে জামাত কিংবা যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সন্তান।