মন্ত্রিসভায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৬ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেয়া হলেও যাচাই বাছাই করে আরো সুনির্দিষ্ট করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আইনমন্ত্রীকে।
এই আইন হলে কোনো ব্যাক্তি ইলেকট্রনিক মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আদালত কর্তৃক সমাধান হওয়া বিষয় এবং জাতির পিতার বিরুদ্ধে কোনো প্রচার প্রচারণা করলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন এবং সর্বনিম্ন ৩ বছর জেল, সর্বোচ্চ জরিমানা ১ কোটি টাকা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এছাড়াও পর্নোগ্রাফির জন্য সর্বোচ্চ ১০ বছর জেল, সর্ব নিম্ন ২ বছর জেল অথবা ১০ কোটি টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে এই আইনে।
সাইবার অপরাধ করলে ১৪ বছরের জেল, সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। আবহাওয়া বিষয়ক আইন ২০১৬ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদনসহ আরো ৩টি আইনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে আজকের সভায়। এছাড়া জীব বৈচিত্র্য রক্ষার উদ্দেশ্যে সংরক্ষিত ও গাজীপুর বনাঞ্চলের গাছ কাটার উপর আরো কিছু বিধি নিষেধ ২০২২ সাল পর্যন্ত বহাল রাখার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রী পরিষদ।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন ও এর সংশোধনীগুলো বাতিল করে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয় সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ। এই আইনে ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। যার প্রধান থাকবেন একজন মহাপরিচালক, যিনি জরুরি পরিস্থিতিতে যেকোনো সম্প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবেন।
তাছাড়া মন্ত্রীপরিষদ বৈঠকে জীববৈচিত্র্য রক্ষার উদ্দেশে সংরক্ষিত ও প্রাকৃতিক বনাঞ্চলের গাছ কাটার ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ ২০২২ সাল পর্যন্ত বহাল রাখার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।