মুক্তিযুদ্ধে চারজন সাঁওতালসহ ১৫ জনকে হত্যার অভিযোগে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার আবদুস সামাদ (মুসা) ওরফে ফিরোজ খাঁ’র বিরুদ্ধে ৫টি অভিযোগ চূড়ান্ত করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
রোববার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান। সঙ্গে ছিলেন জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক সানাউল হক ও মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেন। তদন্ত সংস্থার এটি ৫৮তম প্রতিবেদন।
আজ ব্রিফিংয়ে বলা হয়, পুঠিয়ার বাঁশবাড়ী এলাকার মৃত আব্বাস আলীর ছেলে মো.আব্দুস সামাদ (মুসা) ওরফে ফিরোজ খাঁ যুদ্ধের আগে মুসলিম লীগ সমর্থক ছিল। যুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক হিসেবে শান্তি কমিটির স্থানীয় নেতার নেতৃত্বে মানবতাবিরোধী অপরাধের লিপ্ত হয়।
এই মামলায় ৪৪ জন ঘটনার সাক্ষী, একজন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সাতজন জব্দ তালিকার সাক্ষী করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে এই আসামীর বিরুদ্ধে ১৫ জনকে হত্যা, ২১ জনকে নির্যাতন,৮/১০ টি বাড়িঘর লুণ্ঠনসহ ৫০/৬০টি বাড়িঘর অগ্নিসংযোগ করে ধংস করার ৫টি অভিযোগ আনা হয়।
সেই সঙ্গে অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ১৯ এপ্রিল মুসা ও তার সহযোগীরা পুঠিয়ার ৪ নং ভালুকগাছী ইউনিয়নের পশ্চিমভাগের সাঁওতালপাড়ায় নিজহাতে তরবারী দিয়ে এবং পাকিস্তানি আর্মিরা গুলি করে লাডে হেমরম, কানু হাসদা, টুনু মাড্ডি ও জটু সরেনদেরকে হত্যা করে।
২০১৭ সালের ২৪ জানুয়ারি এ মামলায় আসামীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।