মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার এবং সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) এ কে এম শফিউল্লাহ বলেছেন, পাকিস্তানী জেনারেল নিয়াজির দ্রুত আত্মসমর্পণ ছিলো জেনারেল জ্যাকবের রণকৌশলের সাফল্য। সদ্যপ্রয়াত জেনারেল জ্যাকবের স্মরণ সভায় তিনি বলেন, জ্যাকব আত্মসমর্পণ প্রলম্বিত হতে দেননি ।
১৩ জানুয়ারি দিল্লীতে মৃত্যুবরণ করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সশস্ত্র সহযোগী ভারতীয় সেনা বাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল জ্যাকব।
বাংলাদেশের মহান এই বন্ধুকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাতে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের স্মরণ সভায় বক্তারা মুক্তিযুদ্ধে জেনারেল জ্যাকবের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেন।
সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সহ-সভাপতি ম. হামিদ এবং আনোয়ারুল আলম বলেন , মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে যৌথ কমান্ড করে তারা (ভারতীয়রা) আমাদের দেশ দখল করতে আসেননি, আমাদের স্বাধীনতার জন্যই তারা প্রাণ দিয়েছেন। তাই তারাও আমাদের শহীদদের মতোই সমমর্যাদা অধিকারী।
একাত্তরে জ্যাকবের ভূমিকা স্মরণ করে তারা বলেন, ঢাকা ছাড়া অন্য বাইরের শহরগুলো আগে দখলের যে পরিকল্পনা ছিলো সেটা জেনারেল জ্যাকব মানেননি। কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, এটা (ঢাকা) তাদের সেন্ট্রাল পয়েন্ট। তাই তিনি ঢাকার ওপরই বেশি জোর দিয়েছিলেন।
সেক্টর কমান্ডর্স ফোরামের সভাপতি কে এম শফিউল্লাহ বলেন, জ্যাকবের অনন্য অসাধারণ ভূমিকাতেই পাকিস্তানীদের আত্মসমর্পণ তরান্বিত হয়েছিলো। মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সৈন্যদের অবদানের কথা স্মরণ করে কৃতজ্ঞতা জানান বক্তারা। পাশাপাশি মিত্র বাহিনীর অবদানের জন্য একটি সৌধ বানানো দাবি জানান।
বক্তারা বলেন: জ্যাকব যেভাবে আমাদের সাহায্য সহযোগিতা করেছেন সেটা যদি না করতেন তাহলে হয়তো আমাদের দেশ স্বাধীন হতো কিন্তু আমাদের আরও বেশ কিছুদিন যুদ্ধ করা লাগতো।
এখানো যারা মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধদের নিয়ে কটাক্ষ করছেন তাদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার দাবি জানান বক্তারা।
আগামী দিনে যুদ্ধপরাধীদের বিচার ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে নতুন প্রজন্মকে ঐকবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ছিলো বক্তাদের মুখে।