মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ রংপুরের শঙ্কু সমজদার। ৭১’ এর ৩ মার্চ সারাদেশের মতো রংপুরেও হরতাল পালিত হয়। হরতালের পক্ষে বিক্ষোভ মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন শঙ্কু। এই শহীদের নাম গেজেটভুক্ত হলেও সরকারি কোন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে না তার পরিবার।
৭০’ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়ের পর সারাদেশের মতো উদ্বেলিত হয়েছিলো রংপুরের মানুষ। ইয়াহিয়া খান একাত্তরের ৩ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করলেও ১ মার্চ তা স্থগিত হওয়ার প্রতিবাদে ২ মার্চ ঢাকায় এবং ৩ মার্চ সারাদেশে হরতাল ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু। এরই ধারাবাহিকতায় রংপুরে হরতাল পালিত হয়।
শহরের কাচারি বাজার থেকে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয় । মিছিলে রংপুর কৈলাশ রঞ্জন স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র শঙ্কু সমজদারও অংশ নেন। মিছিলটি জাহাজ কোম্পানির মোড় হয়ে স্টেশনের দিকে এগুতে থাকলে পুলিশ গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই শহীদ হন শঙ্কু সমজদার।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আরও দুজনের। একই দিন বিকেলে রাজধানীর মৌচাক মোড়ে শহীদ হন কলেজ ছাত্র ফারুক ইকবাল।
রংপুর শহরের কামাল কাছনায় জীর্ণশীর্ণ বাড়িতে বাস করছেন শঙ্কুর মা শত বছর বয়সী দ্বীপলি সমজদার। অনাহারে-অর্ধাহারে তার দিন কাটছে। মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় শঙ্কুর নাম গেজেটভুক্ত হলেও ৪৬ বছরেও ভাতা পায়নি শঙ্কুর পরিবার।
দ্বীপলি সমজদার ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘যে নিজের রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা দিয়ে গেল তার কি কোন দাম নেই?’
এ বিষয়ে সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুন্সি বলেন, ‘যার জীবন দিয়ে প্রথম মুক্তিযুদ্ধ শুরু করলাম, তার মা কষ্টে থাকবে, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি মনে করি তার প্রতি অবিচার করা হচ্ছে।’
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে:
https://youtu.be/yWvLVlG09no