মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানে নিন্দায় ঐক্যবদ্ধ বলে জানিয়েছে বিশ্বের ধনী রাষ্ট্রগুলোর সংস্থা হিসেবে পরিচিত জি-৭ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
এক বিবৃতিতে দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেন, আমরা কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চ প্রতিনিধিরা মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দায় ঐক্যবদ্ধ।
রাষ্ট্রীয় কাউন্সেলর অং সান সুচি এবং প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের নেতাকর্মীদের আটক এবং গণমাধ্যমকে টার্গেট করায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
তারা বলছেন, আমরা সামরিক বাহিনীকে অবিলম্বে জরুরি অবস্থা শেষ করে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা ফিরিয়ে আনার, অন্যায়ভাবে আটককৃত সবাইকে মুক্তি মানবাধিকার এবং আইনের শাসনকে সম্মান করার আহ্বান জানাই।
বিবৃতিতে গত নভেম্বরের নির্বাচনের ফলাফলকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে এবং দ্রুত সংসদ আহ্বান করা উচিত বলেও জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, তথ্য প্রবাহে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ উদ্বেগজনক। সুশীল সমাজ, গণমাধ্যমসহ বেসামরিক নাগরিকদের কোনোভাবেই প্রতিশোধের শিকার করা যাবে না। দেশের সর্বাধিক দুর্বলদের সহায়তার জন্যও আমরা মানবিক অধিকার পাওয়ার আহ্বান জানাই।
জি-৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা তাদের ২০১৯ সালে দেশটিতে যোগাযোগের কথা স্মরণ করে বলছেন, আমরা মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক উত্তরণ, শান্তি এবং মানবাধিকার লংঘন এবং তার জন্য জবাবদিহিতার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি পুন:ব্যক্ত করছি। আমরা গণতন্ত্রকামী মিয়ানমারের জনগণের পাশে দাঁড়াচ্ছি।
অং সান সুচি সহ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বন্দি করে মিয়ানমারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।
সেখানকার বেসামরিক সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে নির্বাচন নিয়ে বিরোধ তৈরির পরই এই ঘটনা ঘটলো। আটকের ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরে সেনাবাহিনীর টেলিভিশন নিশ্চিত করেছে, তারা এক বছরের জন্য রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।