মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর সেখানে বিমান হামলা শুরু করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী।
সংঘর্ষের কারণে সাগাইংয়ের কিছু জেলায় ইন্টারনেট ও টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তবে ওই হামলায় কেউ হতাহত হয়নি দাবি করেছে বিদ্রোহী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস-পিডিএফএস।
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিপরীতে গঠিত ছায়া সরকার-এনইউজি দাবি করেছে, লড়াইয়ে রকেট-চালিত গ্রেনেড, ছোট অস্ত্র, অস্ত্রের গুদাম এবং গোলা জব্দ এবং একই সাথে ২৫ জনেরও বেশি সরকারি সেনা নিহতের বলে দাবি করা হয়েছে।
সেনাবাহিনী ও বেসামরিক সরকারের মধ্যে নির্বাচনে জালিয়াতি নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই এ বছরের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ঘটে।
তার পরপরই এনএলডির শীর্ষ নেত্রী অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং মন্ত্রিসভার সদস্যসহ প্রভাবশালী রাজনীতিকদের আটক করে সেনাবাহিনী।
পরে সেনাবাহিনী এক ঘোষণায় জানায়, আগামী ১ বছরের জন্য মিয়ানমারের ক্ষমতায় থাকবে তারা।
গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে দিয়ে সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করতে রাস্তায় নেমে আসে। বড় জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা ও রাত্রিকালীন কারফিউ থাকা সত্ত্বেও তারা বিক্ষোভ দেখায়।