মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় গেরিলাদের মধ্যে সংঘর্ষের পরে একটি গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাতে অন্তত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয়রা বিবিসিকে জানিয়েছে, মঙ্গলবার কিন মা এলাকার ২০০ থেকে ২৪০টি বাড়ি সেনাবাহিনী গুঁড়িয়ে দেয়।
স্থানীয় মিলিশিয়ারা সরকারি শাসনের বিরোধিতা করায় এই সংঘর্ষ শুরু হয়। মিয়ানমারে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত ডান চুগ এই হামলার নিন্দা জানান।
ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, খবরে এসেছে জান্তারা মাগওয়ে এলাকায় পুরো একটি গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে, বয়স্ক বাসিন্দাদের হত্যা করেছে, তারা আবারও প্রমাণ করেছে, সেনাবাহিনী সেখানে ভয়াবহ অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে এবং মিয়ানমারের জনগণের জন্য তাদের কোনো সম্মান নেই।
তবে দেশটির গণমাধ্যম জঙ্গিদের এই অগ্নিকাণ্ডের জন্য দায়ী করছেন।
রয়টার্স বলেছে, অগ্নিকাণ্ড এত বড় ছিলো যে নাসার স্যাটেলাইটের ফায়ার ট্র্যাকিং সিস্টেমে সোমবার দুপুর ৩টা ২২ মিনিটে তা রেকর্ড করা হয়।
সেনাবাহিনী ও বেসামরিক সরকারের মধ্যে নির্বাচনে জালিয়াতি নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ঘটে।
তার পরপরই এনএলডির শীর্ষ নেত্রী অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং মন্ত্রিসভার সদস্যসহ প্রভাবশালী রাজনীতিকদের আটক করে সেনাবাহিনী।
পরে সেনাবাহিনী এক ঘোষণায় জানায়, আগামী ১ বছরের জন্য মিয়ানমারের ক্ষমতায় থাকবে তারা।
গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে দিয়ে সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করতে রাস্তায় নেমে আসে। বড় জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা ও রাত্রিকালীন কারফিউ থাকা সত্ত্বেও তারা বিক্ষোভ দেখায়।
জরুরি অবস্থা শেষ হলে মিয়ানমারে মুক্ত ও অবাধ নির্বাচন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেনাবাহিনী। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীরা সেনাদের ভারী অস্ত্র ব্যবহার করতে দেখেছে আর কোনো কিছু নড়াচড়া করলেই গুলি করতেও দেখেছে। এরই মধ্যে সেখানে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় হাজারখানেক মানুষ।