জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন নতুন একটি বিলে
স্বাক্ষর করেছেন। বিলটিতে মিয়ানমারের সুনির্দিষ্ট এলাকার মায়েদের তিন বছরের
বিরতিতে গর্ভধারণের বিধান রাখা হয়েছে। এই দেশটির মুসলিম ও সংখ্যালঘু
সম্প্রদায়গুলো দমনে আইনটি প্রয়োগ করা হবে বলে যুক্তরাষ্ট্র ও মানবাধিকার
সংস্থাগুলো আশঙ্কা করছে।
নারী
অধিকার কর্মী খিন লে মিয়ানমারের নতুন জনসংখ্যা আইনকে হতাশাজনক বলে মন্তব্য
করেছেন। তিনি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আগের আইনগুলোকে কার্যকর করার আহবান
জানিয়ে বলেন, সেগুলো কার্যকর হলে নতুন এই আইনের কোনো প্রয়োজন পড়ে না বলে
মন্তব্য করেছেন খিন লে।
মার্কিন উপ সচিব অ্যান্থনি ব্লিনকেন
মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন ও উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের
সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি জানান, জাতি ধর্ম রক্ষায় এ আইন গভীর উদ্বেগের।
নারী অধিকার ও ধর্মীয় ব্যাপারে স্বাধীনতা রেখে আইনটি সঠিকভাবে প্রয়োগ করা
যেতে পারে।
দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন প্রদেশে অত্যন্ত নোংরা
পরিবেশে লাখ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস। চিকিৎসা ও জরুরী প্রয়োজনে তাদের সীমান্ত
অতিক্রম করতে হলে পুলিশকে রীতিমতো ঘুষ দিতে হয়। সম্প্রতি সহিংসতা ও
নিপীড়নের কারণে কমপক্ষে ২শ’ ৪০ জন মারা গেছে। ঘর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে
প্রায় দেড় লাখ মানুষ।
হাজার হাজার রোহিঙ্গা সাগরপথে উন্নত জীবন লাভ ও
মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য সাগর পথে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং
ইন্দোনেশিয়ায় পালিয়ে যাচ্ছে।
মিয়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর মানুষকে নির্যাতনের মুখে পড়তে হলেও রোহিঙ্গারা জাতিগত নিধনের শিকার।