২৫ বছর পর মিয়ানমারে ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। আগামীকাল সোমবার ফলাফল প্রকাশ করা হবে। নির্বাচনে ৯০টির বেশী রাজনৈতিক দল থেকে ৬ হাজার প্রার্থী অংশ নেন। তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৬৬৪টি আসনে।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অং সান সু চি দিনের শুরুতেই ভোট দিয়েছেন। তবে সু চি’র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি-এনএলডি’র সাথে সেনাসমর্থিত ক্ষমতাসীন দল ইউনিয়ন সলিডারিটি ডেভেলপমেন্ট পার্টি-ইউএসডিপি’র তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পার্লামেন্টের ২৫ শতাংশ আসন সামরিক সরকারের জন্য সংরক্ষিত। জয় পেতে বাকি আসনের ৬৭ শতাংশে জিততে হবে সুচি’র দলকে।
প্রায় তিন কোটি ভোটারের নির্বাচন উপলক্ষে সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। কমপক্ষে চল্লিশ হাজার পুলিশ সদস্য ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় মোতায়েন ছিলো। তবে মুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করায় মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ বলে অভিহিত করেছে।
প্রেসিডেন্ট থিয়েন শিয়েন নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন তাকে সম্মান জানানো হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
মিয়ানমারে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯০ সালে। ওই নির্বাচনে অং সান সু চি জিতলেও দেশটির জেনারেলরা তার হাতে ক্ষমতা দেয়নি। আর এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশটিতে পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় ধরে চলা সামরিক শাসনের অবসান হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।