মিয়ানমারে সামরিক সরকারবিরোধী বিক্ষোভ বানচাল করতে রাজধানী নেপিদোতে বিক্ষোভকারীদের উপর জলকামান প্রয়োগ করেছে পুলিশ। সামরিক জান্তাকে হঠাতে এবং অং সান সুচির মুক্তির দাবিতে তিন দিন ধরে রাজপথে আন্দোলন করছে লাখো মানুষ।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বিক্ষোভকারীদের সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে, বিশৃংখলা সৃষ্টিকারীদের বিরেুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। গত এক দশকে মিয়ামানমারে এমন নজিরবিহীন আন্দোলনের প্রেক্ষিতে এ শতর্কতা প্রকাশ করা হলো।
গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক জান্তা নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে।
অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল করে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে সামরিক সরকার। এই এক বছরের জন্য সেদেশের কমান্ডার ইন চিফ মিন অং লেইং কে সামরিক সরকারের দায়িত্ব দেয়া হয়। ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি- এনএলডি প্রধান অং সান সুচিসহ দলের সিনিয়র কয়েকজন নেতাকে গৃহবন্দী করা হয়।
অভ্যুত্থানের পর থেকে রাজপথে নেমেছে লাখো মানুষ। এদের মধ্যে রয়েছেন ছাত্র-শিক্ষক, আইনজীবী, ব্যাংক কর্মকর্তা, চিকিৎসক এমনকি সরকারি কর্মকর্তা। আন্দোলনকারী এক চিকিৎসক বলেন, “আমাদের রাজপথে থাকার কথা না। কিন্তু এক ঐক্যবদ্ধ দাবীতে আমরা সবাই এখন রাজপথে। আমাদের একটাই দাবি, সামরিক জান্তাকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে।
আন্দোলনকারীরা সব নাগরিককে যার যার কাজ ফেলে আন্দোলনে যোগ দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন।