রোহিঙ্গা বিষয়ক সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মিয়ানমারে আটক রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের পক্ষে আইনী দলে যোগ দিয়েছেন স্বনামধন্য মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবী আমাল ক্লুনি।
এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, এখানে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই যে ওই দুই সাংবাদিক নিরাপরাধ। আটক সাংবাদিকদের দ্রুত মুক্তি দিতে হবে।
রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বিপদের মুখে পড়েন রয়টার্সের দুই সাংবাদিক। তাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তি হিসেবে তাদের ১৪ বছর করে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
আমাল ক্লুনির মতে, মিয়ানমারের আইনের শাসন ও বাকস্বাধীনতা নিয়ে অনেক কিছুই বোঝা যাবে এই মামলার ফলাফল থেকে। তারা দু’জন শুধুমাত্র বিচারের আওতায় এসেছেন খবর সংগ্রহ করার জন্য।
আমাল ক্লুনি একজন ব্রিটিশ-লেবানিজ আইনজীবী। এর আগেও বড় বড় মানবাধিকারের বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন তিনি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং তাদের স্থানীয় দোসরদের দ্বারা রোহিঙ্গাদের গণনিপীড়নের তথ্য সংগ্রহ করায় তাদের দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর থেকে মিয়ানমারে তারা আটক রয়েছেন।
রয়টার্সের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই সাংবাদিকদের মুক্ত করতে সব ধরনের চেষ্টা চালাবেন তারা।